নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, সরকার সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৩টি নৌপথ খননের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
আজ মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কালিপ্রসাদ ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে ভৈরব-কটিয়াদি নৌপথের ক্যাপিটাল ড্রেজিং কাজের উদ্বোধন শেষে সুধী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
শাজাহান খান বলেন, নৌপথ খননের জন্য পর্যাপ্ত ড্রেজারের প্রয়োজন। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজার ছিল মাত্র সাতটি। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু সরকারের সময়ে উক্ত সাতটি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়েছিল। ১৯৭৫ এর পর আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯-১৩ সাল পর্যন্ত ১৪টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছে। চলতি মেয়াদে ২০টি ড্রেজার সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
এর আগে মন্ত্রী ভৈরবে জগন্নাথপুর গ্রামের পাশে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের ভৈরব-কাটিয়াদি নৌপথের খনন কাজ উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আজিম উদ্দিন বিশ্বাস এবং ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদুল্লাহ মিয়া।
উল্লেখ্য, বিআইডব্লিউটিএ’র অভ্যন্তরীণ নৌপথে ৫৩টি রুটে (প্রথম পর্যায়ে ২৪টি রুট) নদী খনন প্রকল্পের আওতায় ভৈরব-কটিয়াদি নৌপথে ৮৫ কিলোমিটার ক্যাপিটাল ড্রেজিং করা হবে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অধীনস্থ মেসার্স খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড আড়িয়াল খাঁ ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর ভৈরব-কটিয়াদি নৌপথে প্রথম পর্যায়ে ৩০ লাখ ঘনমিটার পলি ড্রেজিং করবে।
প্রথম পর্যায়ে এজন্য ব্যয় হবে ৪২ কোটি ১৮ লাখ টাকা। মেঘনা নদীর মোহনা থেকে বেলাভো হয়ে কটিয়াদি পর্যন্ত নৌপথটি ১২০ ফুট প্রশস্ততা ও ৯ ফুট গভীরতায় খনন করা হবে। এতে সারাবছর ২ দশমিক ৭৫ মিটার গভীরতার নৌযানসমূহ চলাচল করতে পারবে।