বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নে বড় উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। দেশের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিড নেটওয়ার্কের পরিবর্ধন ও ক্ষমতায়নে ব্যয় হবে ৫ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা। এ টাকার মধ্যে বিশ্বব্যাংক দিবে ৩ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় এ সংক্রান্ত প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হচ্ছে। সভায় অনুমোদন পেলে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ শুরু করবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, পূর্বাঞ্চলে বিদ্যুতের শক্তিশালী ও বর্ধিত ক্ষমতা সম্পন্ন সঞ্চালন ব্যবস্থা নির্মাণ করা জরুরি। দেশের পূর্বাঞ্চল তথা বৃহত্তর কুমিল্লা, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামে গ্রিড নেটওয়ার্ক শক্তিশালীর চিন্তা চলছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে এসব এলাকার বিদ্যমান সঞ্চালন অবকাঠামো পরিবর্তন হবে। কেননা এ অঞ্চলের বিদ্যুৎ গ্রিড বহু পুরাতন এবং প্রয়োজনের তুলনায় সঞ্চালন ক্ষমতা অপ্রতুল।
বিদুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে চট্টগ্রাম এলাকায় ব্যাপক শিল্পায়নের দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিকটবর্তী কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলের বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়ে চলেছে। তাই বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এলাকাগুলোকে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা ও বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের জন্য এ প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকরের নিজস্ব তহবিল থেকে ১ হাজার ৬৮৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, বিশ্বব্যাংকের ঋণ থেকে ৩ হাজার ৬৪২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের তহবিল থেকে ৪৭৮ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
বিশ্বব্যাংকের এ অর্থ প্রচলিত ঋণের (শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ) বাইরে স্কেল-আপ ফ্যাসিলিটিজের (এসইউএফ) আওতায় প্রায় ৩ থেকে ৫ শতাংশ সুদ দিতে হবে।