খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছে ঢাকা ডমিনেটর্স। ১১৩ রানের পুঁজি পাওয়া খুলনার বোলাররা লড়াই করলেও শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেনি ঢাকার কাছে।
আজ শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টায় মাঠে গড়ানোর কথা থাকলেও ঘন কুয়াশায় ম্যাচ গড়িয়েছে ৩০ মিনিট পর, তথা দুপুর দুইটায়। টস ভাগ্যে ঢাকার জয় হলেও ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান খুলনা টাইগার্সকে। ঢাকার আমন্ত্রণে ওপেনিংয়ে আসেন তামিম ইকবাল ও শারজিল খান। দলীয় ১১ রানের মাথায় আউট হয়ে ফিরে যান শারজিল। এরপর দ্রুত বিদায় নেন মুনিম শাহরিয়ার। ১২ রান যুক্ত করতেই ২৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৮ রানে ফিরে যান তামিম ইকবালও।
এরপর পাকিস্তানের আজম খান ও ইয়াসির আলী চেষ্টা করলেও আজম খানকে ফিরিয়ে দেন আরাফাত সানী। এরপরই সারপ্রাইজিং সিদ্ধান্ত খুলনার, ৬ নাম্বারে হাজির হন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সাইফ·ইয়াসির চেষ্টা করলেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের খোরাক মেটাতে ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত ইয়াসিরের ২৪ ও সাইফউদ্দিনের ১৯ রানে ভর করে ১১৩ রানের পুঁজি পায় খুলনা। ঢাকার পক্ষে ৪ উইকেট শিকার করেন আল আমিন। এছাড়াও দুইটি করে উইকেট শিকার করেন নাসির ও আরাফাত সানী।
১১৪ রানের জবাবে খেলতে নেমে শুরুতেই রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন আহমেদ শেহজাদ। এরপর দিলশানকে নিয়ে জুটি বাঁধেন সৌম্য সরকার। সৌম্য–দিলশানদের ব্যর্থতার দিনে দলকে রক্ষার দায়িত্ব নেন নাসির। শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে ৭ উইকেটের জয় এনে দেন নাসির। ব্যাটে ৩৬ ও বল হাতে ২ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জেতেন রংপুরের এই ক্রিকেটার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খুলনা টাইগার্স ১১৩/৮ (২০ ওভার)
ইয়াসির ২৪, সাইফউদ্দিন ১৯, আজম ১৮, সাব্বির ১১*
আল আমিন ২৮/৪, সানী ২৪/২
ঢাকা ডমিনেটর্স ১১৭/৩ (১৯.১ ওভার)
নাসির ৩৬*, দিলশান ২২, সৌম্য ১৬
সাইফউদ্দিন ২২/
ফলাফল: ঢাকা ডমিনেটর্স ৭ উইকেটে জয়ী।