বিগত ৮ বছরে ১০ হাজার মেশিন রিডেবল সিফেয়ার্স আইডেন্টি ডকুমেন্ট (এসআইডি) কার্ড ইস্যু করা হয়েছে বলেলেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান ।
তিনি বলেন, এই কার্ড চালুর ফলে বাংলাদেশী নাবিকদের বিদেশি জাহাজে কর্মসংস্থান হচ্ছে এবং প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রাও আয় হচ্ছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় মতিঝিলে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের সভা কক্ষে এসআইডি পদ্ধতির আধুনিকায়ন ও অনলাইন ভেরিফিকেশন পদ্ধতির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায় এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তরের চীফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার ক্যাপ্টেন কে এম জসীমউদ্দিন সরকার বক্তব্য রাখেন।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) এসআইডি (নং-১৮৫) অনুযায়ী বাংলাদেশী নাবিকদের কনভেনশনে বর্ণিত বায়োমেট্রিক তথ্যসহ অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য অন্তর্ভূক্ত করে এ পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়। আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থার (আইএমও) হোয়াইট লিস্ট দেশ হিসাবে বাংলাদেশী নাবিকদের এসআইডি থাকা বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এসআইডি সরকারিভাবে প্রদান করায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশী নাবিকদের যাওয়া আসায় বিশেষ সুবিধা লাভ করছে।
আইএলও এসআইডি পদ্ধতির কিছু পরিবর্তন করায় সে অনুসারে এসআইডি কার্যক্রমের মাধ্যমে এসআইডি জারি পদ্ধতি উন্নয়ন করা হয়েছে।
নতুন এসআইডি পদ্ধতি চালুর মাধ্যমে ভেরিফিকেশন ওয়ার্কস্টেশন স্থাপনের ফলে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট বিমান বন্দর চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্র বন্দরে পরিচয় যাচাই করা যাবে। স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে ভেরিফিকেশন, পোর্টেবল ভেরিফিকেশন সিস্টেমের মাধ্যমে জাহাজ বা বন্দর এলাকাসহ যে কোন স্থান থেকে কার্ড যাচাই করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। বিদেশি নাবিকদের দেশের বর্হিগমন স্থানসমূহে এসআইডি কার্ড যাচাই করা যাবে। ব্যাক আপ ফাইল সংরক্ষিত হবে, দু’টি নতুন সার্ভার সংযোজিত হওয়ায় দেশ-বিদেশ থেকে অনলাইনে এ নাবিকদের পরিচয় যাচাই কার্যক্রমে আরও সুবিধা পাওয়া যাবে। নতুন জাতীয় প্রতিকের নিরাপত্তা ছাপ সম্বলিত লেমিনেটিংসহ ১০ হাজার আধুনিক কার্ড প্রস্তুত করা হয়। এক লাখ বায়োমেট্রিক ডাটাবেজ সংরক্ষণের জন্য বায়োমেট্রিক সফটওয়্যার সিস্টেমটির লাইসেন্স গ্রহণ করা সম্ভব হবে।
কার্ড ইস্যু করার সময় একই সাথে দু’জন অপারেটর এনরোলমেন্ট করবে, একই সাথে দু’টি করে ফিঙ্গার প্রিন্ট গ্রহণ, ছবি গ্রহণের জন্য বর্তমান সময়ের উন্নতমানের ক্যামেরা সংযুক্ত, কার্ড মুদ্রণের পূর্বে তিন ধাপে তা যাচাই করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে ব্যয়বহুল কার্ডে অপচয় রোধ হবে এবং আন্তর্জাতিক মানদ- অনুসরন করা সম্ভব হবে। এসব উন্নয়নের জন্য নতুন সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। ইতোপূর্বে ইস্যু করা কার্ডধারিদের তথ্য নতুন পদ্ধতিতে অটোমার্জ হবে।
ভবিষ্যতে চীপস সংযুক্ত এসআইডি কার্ড চালু করা হবে। চীপস সংযুক্ত এসআইডি চালু করা হলে পরিচয় সনাক্তকরণে আরও সুবিধা সৃষ্টি হবে।