রাজশাহী–ঢাকার পর এবার লাল–সবুজ রংয়ের ট্রেন চলবে রাজশাহী–খুলনা রুটে। জাতীয় পতাকা রংয়ের কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি আগামী ১৯ মার্চ থেকে চলাচল শুরু করবে বলে জানিয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেল কর্তৃপক্ষ। ভারত থেকে আমদানি করা ১২টি বগি এখন রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে রয়েছে উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।
গত বছর ঢাকা–রাজশাহী রুটে পদ্মা, সিল্কসিটি ও ধূমকেতু এক্সপ্রেসে নতুন লাল–সবুজ বগি যুক্ত করা হয়। তবে ঢাকার বাইরে এই প্রথম রাজশাহী–খুলনা অভ্যন্তরীণ রুটে এই বগি যুক্ত হচ্ছে। বগিগুলোর সব ধরনের পরীক্ষা–নিরীক্ষাও শেষ করেছে রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগ। আগের তুলনায় এই নতুন ট্রেনটিতে অধিক পরিমানে যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। রয়েছে নানান ধরনের সুযোগ সুবিধাও।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সহকারি চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট আলতাফ হোসেন খান জানান, ১৯ মার্চ দুপুরে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের রাজশাহীতে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেসের নতুন বগিগুলোর উদ্বোধনের কথা রয়েছে। বর্তমানে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ৯টি বগি নিয়ে চলাচল করলেও এবার ১২টি বগি নিয়ে চলাচল করবে। আগে যাত্রীর আসন ছিল ৬১৭টি। কিন্তু এবার বাড়তি বগিযোগ হবার কারণে আসন সংখ্যা বেড়ে হচ্ছে ৮৬৬টি। নতুন বগিগুলোতে আগের তুলনায় এসি চেয়ার ও কেবিনের সংখ্যা বেশি থাকছে। বেড়েছে প্রথম শ্রেণির আসনের সংখ্যাও। এতে যাত্রীরা আরো স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারবেন।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে ট্রেনটিতে যাত্রী সঙ্কুলান হয় না। আসনের চেয়ে প্রতিনিয়ত দুই–তিনগুণ যাত্রী নিয়ে কপোতাক্ষ চলাচল করে। শনিবার বাদে সপ্তাহে ছয় দিন ট্রেনটি ভোর সাড়ে ৬টায় খুলনা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে পৌঁছে বেলা ১২টা ২০ মিনিটে। এরপর দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে রাজশাহী থেকে ছেড়ে খুলনা পৌঁছে রাত ৮টায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জুয়েল জানান, কপোতাক্ষ এক্সপেস ট্রেনটি উত্তরাঞ্চলের প্রাণ কেন্দ্র রাজশাহীর সাথে দক্ষিণাঞ্চলের যোগসূত্র ঘটায়। কিন্তু যাত্রী সেবা মানসম্পন্ন না হবার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের। সেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে এই ট্রেনটির মাধ্যমে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) খায়রুল আলম বলেন, যাত্রীদের যাতায়াত যেনো আরাম দায়ক হয় লাল–সবুজ ট্রেনটিতে সেই ধরনের সকল সুযোগ সুবিধা থাকছে। বগিগুলোতে এক আসন থেকে আরেক আসনের মাঝে রয়েছে যথেষ্ট ফাঁকা জায়গা। এ ছাড়াও দেশের অন্যান্য রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেনের মতই সুযোগ–সুবিধা আছে এই বগিগুলোতে।