ডিএমপি নিউজ : সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদানের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-উত্তরা বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ তৈয়েবুর রহমান মোস্তাক, মোঃ হাফিজুর রহমান ডেভিড ও মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ।
আজ বুধবার পল্লবী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা-উত্তরা বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ৩টি জাল নিয়োগপত্র, বিভিন্ন ব্যাংকের ৭টি চেক, স্বাক্ষরিত খালি স্ট্যাম্প ৩টি, বেদখল জমি উদ্ধার/বিক্রয় চুক্তিপত্রের ১২ পাতা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়।
গোয়েন্দা-উত্তরা বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম লিডার সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ ইমরান হোসেন মোল্লা ডিএমপি নিউজকে বলেন, জনৈক মোঃ লুৎফর রহমানের দুই ছেলেসহ অন্য একজনকে গ্রেফতারকৃতরা সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাইয়ে দিবে বলে আশ্বস্ত করে। গ্রেফতারকৃত মোস্তাক নিজেকে এনএসআই পরিচয় দেয়। লুৎফর রহমান এতে প্রলুব্ধ হয়ে প্রতারক চক্রকে বিভিন্ন সময়ে ২০ লক্ষ টাকা ও ব্যাংকের ব্ল্যাংক চেক প্রদান করেন। টাকা পাওয়ার পর গ্রেফতারকৃতরা লুৎফর রহমানের এক ছেলে মোঃ জুলহাজ রানাকে সেনাবাহিনীতে স্টেশন হেডকোয়ার্টার সিভিল পাম্প অপারেটর (স্থায়ী) রাজস্ব পদে, তার আরেক ছেলে আলহাজকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে ও দীপ্ত প্রামাণিক নামে একজনকে সেনাবাহিনীতে স্টেশন হেডকোয়ার্টার সিভিল পাম্প অপারেটর (স্থায়ী) রাজস্ব পদে নিয়োগপত্র প্রদান করে। নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরিপ্রত্যাশীরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গেলে জানতে পারেন নিয়োগপত্রগুলো ভুয়া।
তিনি আরো বলেন, মোঃ লুৎফর রহমানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তুরাগ থানায় একটি মামলা হয়। এরপর তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা-উত্তরা বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম। তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেফতারকৃতদের অবস্থান শনাক্ত করে পল্লবী থানা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের তুরাগ থানার রুজুকৃত মামলায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।