প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। সম্প্রতি সারা দেশে (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান ব্যতীত) প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিটি পাওয়া যাবে www.dpe.gov.bd এবং dpe.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে। আগামী ৩০ আগস্ট শেষ হবে এ পদে আবেদনের সময়সীমা। আবেদনের আগে জেনে নিন নিয়োগ পরীক্ষার পদ্ধতি, যোগ্যতা এবং প্রস্তুতি সম্পর্কে।
পরীক্ষা পদ্ধতি
সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হবে। ২০১৪ সালের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় ৮০ এবং মৌখিক পরীক্ষায় ২০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। এমসিকিউ পদ্ধতিতে নেয়া হয় লিখিত পরীক্ষা। পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট। এতে চারটি বিষয়ের ওপর মোট ৮০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন থাকে। প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান ১। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
প্রস্তুতির জন্য অনুসরণ হবে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড নির্ধারিত পাঠ্য বই। পাশাপাশি বিভিন্ন সাধারণ জ্ঞানের বই। বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়। প্রতিটি বিষয় থেকে ২০টি করে প্রশ্ন থাকে। রয়েছে নেগেটিভ মার্কিং। প্রতিটি ভুল উত্তরে কাটা যাবে ০.২৫ নম্বর।
বাংলা
বাংলা অংশে ব্যাকরণ থেকে বেশি প্রশ্ন আসে। সাহিত্য থেকেও কিছু প্রশ্ন করা হয়। ব্যাকরণ অংশে পদপ্রকরণ, শব্দ, বাক্য, ধ্বনি, সন্ধিবিচ্ছেদ, কারকবিভক্তি, সমাস থেকে প্রশ্ন করা হয়। নিয়ম জানার পাশাপাশি উদাহরণও শিখতে হবে। কোনটি কোন কারক, সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি বা একটি বাক্য দিয়ে তা কোন সমাস জানতে চাওয়া হতে পারে। এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, বিপরীত শব্দ, সমার্থক শব্দ, পারিভাষিক শব্দ থেকেও প্রশ্ন করা হয়। এগুলো ভালোভাবে আয়ত্তে থাকলে সহজেই উত্তর দেওয়া যায়। সাহিত্য অংশের জন্য বিভিন্ন কবি-সাহিত্যিকের জীবনী, জন্ম-মৃত্যু সাল, রচিত বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে প্রশ্ন আসতে পারে।
ইংরেজি
ইংরেজিতে গ্রামার থেকে প্রশ্ন করা হয়। Right forms of verb, Parts of speech, Tense, Preposition, Article, Narration, Voice change থেকে প্রশ্ন আসে। মুখস্থ রাখতে হবে Antonym, Synonym, Spelling। প্রশ্নে কমপক্ষে এক থেকে দুটি Translation আসবেই।
সাধারণ জ্ঞান
বিগত বছরের প্রশ্ন দেখলে এ বিষয়ে ধারণা পাওয়া যাবে। তথ্য-প্রযুক্তির মৌলিক কিছু প্রশ্নও সাধারণ জ্ঞানে আসতে পারে। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক প্রসঙ্গে বেশ কিছু বিষয় আছে, যা থেকে প্রতিবছরই প্রশ্ন আসে।সাম্প্রতিক বিষয়াবলি থেকেও কিছু প্রশ্ন আসে। বাজারে বিভিন্ন প্রকাশনীর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ গাইড পাওয়া যায়। দেখতে পারেন গোলাম মোস্তফা কিরণের ‘আজকের বিশ্ব’ ও সেলিম গাজীউর রহমানের ‘স্বপ্নপূরণ’ বই দুটি। চোখ রাখতে পারেন কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মাসিক সাময়িকী ও দৈনিক পত্রিকায়।
গণিত
পরীক্ষার হলে সাধারণত ক্যালকুলেটর ব্যবহারের সুযোগ থাকে না। তাই এমনভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে, যেন মুখেমুখেই অঙ্কের সমাধান করা যায়। প্রয়োজনে প্রশ্নের খালি অংশে পেনসিল দিয়ে সমাধান করা যেতে পারে। তবে সমাধান শেষে রাবার দিয়ে মুছে ফেলা ভালো। গণিতের জন্য মৌলিক বিষয়গুলো যেমন—ঐকিক নিয়ম, ভগ্নাংশ, লসাগু, গসাগু নির্ণয়, সুদ-কষা, লাভ-ক্ষতি থেকে প্রশ্ন আসে। জ্যামিতি এবং বীজগণিত থেকেও প্রশ্নও থাকতে পারে। প্রতিটি প্রশ্নের সমাধানের জন্য এক মিনিটের বেশি সময় পাওয়া যায় না। তাই শিখতে হবে শর্টকাট টেকনিক।