ইকুয়েডরের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনোই সে দেশের নতুন প্রেসিডেন্ট। রীতিমতো চমক দিয়ে ক্ষমতায় এলেন বামপন্থী দলের লেনিন মোরেনোই । স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন উইকিলিকস-এর প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জ।
কনজারভেটিভ নেতাগুইলেরমো লাসো আগেই হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন, ক্ষমতায় এলে ত্রিশ দিনের মধ্যে সুইডেনে প্রত্যর্পণ করানো হবে অ্যাসাঞ্জকে।কারন দেশে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা ঝুলছে।ভোটের ফলাফলের ওপরে তার ভাগ্য অনেকখানি নির্ভর করছিল।ফলে এখন স্বস্থিতে আছেন অ্যাসাঞ্জ।
২০০৭ থেকে ইকুয়েডরে প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট রাফায়েল কোরিয়া। মোরেনো তারই উত্তরসূরি। রাফায়েলই অ্যাসাঞ্জকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। তার প্রতি নরম মনোভাব রয়েছে মোরেনো-রও। তাই তিনি ক্ষমতায় আসায় এখন বেশ কয়েক বছরের জন্য অ্যাসাঞ্জ স্বস্তিতে থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
১৯ ফেব্রুয়ারি হয়েছিল ভোট। গত সোমবার থেকে গণনা শুরু হয়। দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইটা অবশ্য হাড্ডাহাড্ডিই হয়েছে। ৬১ বছরের লাসো আটচল্লিশ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছেন। মোরেনো পেয়েছেন ৫১.১৬ শতাংশ ভোট। ফলটা মোটামুটি পরিস্কার হতে থাকে রবিবার থেকেই। মঙ্গলবার রাতে ৯৯ শতাংশ ভোট গণনা হয়ে যাওয়ার পরে ন্যাশনাল ইলেক্টোরাল কাউন্সিলের পক্ষে পাবলো পোজো ঘোষণ করেন, মোরেনোই দেশের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন। তবে এই ফলে সন্তুষ্ট নন লাসো। তার দাবি, ব্যাপক কারচুপি করে এই ভোট জিতেছেন মোরেনো। ফলাফল চ্যালেঞ্জ করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই অভিযোগ প্রসঙ্গে পাবলো জানিয়েছেন, ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সময় রয়েছে লাসোর হাতে। পুনর্গণনার জন্য তার মধ্যেই আবেদন করতে হবে।
২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত লাতিন আমেরিকার এই তেল সমৃদ্ধ দেশের ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ সামলেছেন মোরেনো। ২০১২ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল তার নাম। কিন্তু পুরস্কার জোটেনি সদা হুইলচেয়ারে বন্দি এই নেতার। জাতিসংঘের প্রতিবন্ধী বিষয়ক বিশেষ দূত ছিলেন এক সময়। মে মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের সর্বোচ্চ পদে বসতে চলেছেন তিনি।