রাজধানীর বিজয় স্মরণীতে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের পাশে নবনির্মিত তোষাখানা’র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই তোষাখানায় দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রি পরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং কর্মকর্তাগণ যে সব রাষ্ট্রীয় উপহার পাবেন তা সংরক্ষণ করা হবে।
রাষ্ট্রীয় পদাধিকারীগণের দেশ-বিদেশ থেকে প্রাপ্ত উপহার সামগ্রি সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ উপহার সামগ্রি দেশের সম্পত্তি এবং দেশের সন্মান ও মর্যাদার প্রতীক। কাজেই এসবকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীনতার পরপরই দেশ পুনর্গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রীয় উপহার সামগ্রী সংরক্ষণের জন্য তোষাখানা নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতার নির্দেশেই ‘তোষাখানা আইন ১৯৭৪’ (রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা) প্রণীত এবং বঙ্গভবনে এই তোষাখানা স্থাপন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে এই তোষাখানার জন্য পৃথক ভবনের প্রয়োজন অনুধাবন করায় তাঁর নির্দেশনাতেই রাষ্ট্রীয় উপহার সামগ্রি সর্বসাধারণের প্রদর্শনীর জন্য উন্মুক্ত করে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের পাশে পৃথক এই নান্দনিক তোষাখানা ভবন নির্মাণ করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, মন্ত্রি পরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, কূটনৈতিক মিশনের সদস্যবৃন্দ, নৌ বাহিনী ও বিমানবাহিনী প্রধানগণ এবং উর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রি পরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
বিজয় স্মরণীতে রাষ্ট্রীয় তোষাখানার ৫ তলার অত্যাধুনিক ভবনটির আয়তন ৫০ হাজার স্কয়ার ফুট। ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এটি নির্মাণ করা হয়েছে।