বাংলাদেশের রেলওয়ের উন্নয়ন ও গতি বাড়াতে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সরকার। মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনামন্ত্রীর নিজ দফতরে ব্রিটিশ সরকারের বাণিজ্য সংক্রান্ত একটি প্রতিনিধিদল পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
ব্রিটিশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন যুক্তরাজ্যের দক্ষিণএশীয় বিষয়ক ট্রেড কমিশনার ক্রিসপিন সিমন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার এলিসন ব্লেক। পরিকল্পনামন্ত্রী যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য বিষয়ক প্রতিনিধিকে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন। সাক্ষাতে দু’দেশের দীর্ঘদিনের বাণিজ্য সম্পর্ক তুলে ধরে বাংলাদেশের ব্যক্তিখাতের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সরকারের বাণিজ্য নীতি ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে গৃহীত পরিকল্পনার প্রশংসা করেন সিমন। নিয়মিত সাত শতাংশের উপরে প্রবৃদ্ধি অর্জন করায় সিমন পরিকল্পনামন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ রেলের সুনাম বিশ্বজুড়ে। তারা আমাদের বাংলাদেশ রেলওয়েতে কাজ করবে। রেলের উন্নয়নে ব্রিটিশরা অংশীদার হবে। এ সংক্রান্ত কয়েকটি প্রকল্পও বাস্তবায়ন করবে ব্রিটিশ রেল। ফলে আমাদের রেলের গতি আরো বাড়বে। যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। রেলের পাশাপাশি শিক্ষা ও বিদুৎ খাতে বিনিয়োগের জন্য যুক্তরাজ্যের ব্যক্তি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। ট্রেড কমিশনার আমাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন তিনি দেশে ফিরে যুক্তরাজ্যের ব্যক্তিখাতেকে বাংলাদেশের সম্ভাবনার কথা জানাবেন। শিক্ষা, রেলওয়ে, বিদ্যুৎখাত ও সোলার পাওয়ারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহযোগিতার নিশ্চয়তা দিয়েছেন সিমন।
বৈঠকে পরিকল্পনামন্ত্রী ট্রেড কমিশনারকে জানান, বাংলাদেশের এখন জনমিতিক লভ্যাংশকাল চলছে, যা ২০৬১ সাল পর্যন্ত থাকবে। দেশের তরুণ-তরুণীদের বিভিন্ন ট্রেড প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে দক্ষ জনবল হিসেবে গড়ে তুলতে। সরকার ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে। বিনিয়োগ সহজতর ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে বিভিন্ন বাধা সরকার অপসারণ করছে।