রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর গার্মেন্টস খাতের কর্মপরিবেশ (কমপ্লায়েন্স) উন্নয়নে নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও অগ্রগতি বিশ্ববাসীকে জানাতে আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দিনব্যাপী অ্যাপারেল সামিটের আয়োজন করা হয়েছে। এবারের সামিটে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ, ক্রেতা ও ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, শ্রমিক অধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে ২০১৩ সালের শেষ দিকে প্রথমবারের মত অ্যাপারেল সামিট আয়োজন করেছিল তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। ওই সম্মেলনে পোশাক খাতের কর্মপরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে বেশকিছু পরামর্শ উঠে আসে। তার ভিত্তিতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে করণীয় নিয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করেছিল সংগঠনটি। তিন বছর পর ওই কর্মপরিকল্পনার কতটুকু বাস্তবায়ন হলো, তারও মূল্যায়ন হবে এবারের সম্মেলনে।
অ্যাপারেল সামিট উদ্বোধনে এসে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অর্থনৈতিকভাবে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। জাতির পিতার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছি। এ রূপকল্প অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ১৫ শতাংশে নিচে নামিয়ে আনা হবে এবং আমরা হবো মধ্যম আয়ের দেশ। আর এটি বাস্তবায়ন করতে হলে প্রয়োজন দেশে ব্যাপক শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পোশাকশিল্প আজ নিঃসন্দেহে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি। আমাদের রফতানি আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশই আসে এ খাত থেকে। প্রত্যক্ষভাবে ৪০ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে এ খাতে, যার মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই নারী। পরোক্ষভাবে প্রায় চার কোটিরও বেশি মানুষ এ শিল্পের উপর নির্ভরশীল।
তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর পোশাকশিল্পের স্বার্থে বেশকিছু পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ শিল্পে অগ্রিম আয়কর ১.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৭০ শতাংশ করা হয়েছে। তৈরি পোশাকশিল্পে করপোরেট করের হার ৩৫ ভাগ থেকে কমিয়ে ২০ ভাগ করেছি।
এছাড়া মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক উন্নয়নে আমরা ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছি। শ্রমিক-মালিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন, শ্রমিকদের আইনগত অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং শ্রম কল্যাণে বহুবিধ কর্মসূচি যেমন-শ্রমকল্যাণ ফাউন্ডেশন এবং রফতানিমুখী শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য কল্যাণ তহবিল গঠনের উদ্যোগ গ্রহন করেছি।