ডিএমপি নিউজঃ গার্মেন্টস রেডিমেট পণ্য বিদেশে শীপমেন্টের পথে একটি চক্র পথিমধ্যে কাভার্ডভ্যান থেকে পণ্যের কার্টুন খুলে কিছু মাল সড়িয়ে রাখত। এতে রেডিমেট পণ্যটি বিদেশে রপ্তানির পর বায়ার মালামাল কম পেলে পুরো পেমেন্ট দিতে ও ভবিষ্যতে মালামাল নিতে অস্বীকৃতি জানাত। যা দেশের গার্মেন্টস শিল্পের জন্য চরম ক্ষতিকর। এমন এক চোর চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র গোয়েন্দা (সিরিয়াস ক্রাইম) বিভাগ।
০১ জুন ২০১৯ তারিখ সকাল অনুমান ০৭.৩০ টায় রাজধানীর তুরাগ থানাধীন ধৌড় চৌরাস্তা এলাকা হতে কার্টুন খুলে মালামাল চুরি করাকালীন তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম, মোঃ রাসেল ওরফে শাহজাহান, মোঃ মনির হোসেন, মোঃ খোরশেদুল আলম ওরফে মামুন, মোঃ নাজিম, মোঃ মধু শেখ ও মোঃ আঃ করিম। এসময় তাদের হেফাজত হতে মেসার্স লেনী এ্যাপারেলস লিঃ এর ২৫৯ কার্টুনে ৩১০৮ পিচ রেডিমেট গার্মেন্টস প্যান্ট ও একটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা হয়।
আজ (২ জুন ২০১৯) দুপুর ১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোঃ আবদুল বাতেন বিপিএম, পিপিএম।
গ্রেফতারকৃত চোর চক্রের সদস্য সম্পর্কে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ডিবি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ চোরাই ও ছিনতাইকারী দলের সক্রিয় সদস্য। তারা পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের গার্মেন্টস্ শিল্পকে বিদেশীদের নিকট ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এবং গার্মেন্টস্ শিল্পকে ধ্বংস করার জন্য মালামাল বিদেশে প্রেরণের সময় কার্টুন খুলে প্রতিটি কার্টুন থেকে কিছু মালামাল বের করে এবং পরবর্তী সময়ে অনুরুপভাবে কার্টুন করে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে দেয়। যা বিদেশে পৌঁছার পর আমদানীকারকরা কার্টুন খোলার পর মালামাল কম পায়। যার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন কোম্পানীকে জরিমানা প্রদানও করতে হয় এবং পরবর্তী সময়ে ঐ আমদানীকারক বিদেশী কোম্পানী বাংলাদেশের গার্মেন্টস্ ব্যবসায়ীদের সাথে ব্যবসা করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
গত কিছু দিন যাবৎ গামের্ন্টস্ রপ্তানী পণ্যের এরকম বেশ কয়েকটি ঘটনা সংঘটিত হয়েছে এবং দেশের বিভিন্ন থানায় এ বিষয়ে একাধিক মামলা রুজু হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০/০৫/২০১৯খ্রিঃ তারিখ রাত্র অনুমান ০৩.০০ টায় মেসার্স লেনী এ্যাপারেলস লিঃ হইতে ২৫৯ কার্টন যার প্রতিটি কার্টনে ১২ (বার) পিস করে সর্বমোট (১২×২৫৯)=৩১০৮ পিচ রেডিমেট গার্মেন্টস প্যান্ট, চালান মোতাবেক কোম্পানীর লোকের মাধ্যমে কাস্টম ক্লিয়ারেন্স করে বুঝে নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা করে। কিন্তু ৩০/০৫/২০১৯খ্রিঃ তারিখ এর মধ্যে উক্ত কাভার্ড ভ্যানটি মালামালসহ চট্টগ্রাম বন্দরে না পৌঁছে নিখোঁজ হয়।