অপরাধী প্রত্যাবাসন বিলের প্রতিবাদে ফুঁসছে হংকং। বুধবার লক্ষাধিক বিক্ষোভকারী সরকারি ভবনগুলো ঘিরে থাকা সড়কে অবস্থান নিয়েছে। এর ফলে শহরের অর্থনৈতিক কেন্দ্রস্থলটি অচল হয়ে পড়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের অধিকাংশই তরুণ যাদের পরনে রয়েছে কালো পোশাক। তারা হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যামের দপ্তরের কাছে পূর্ব-পশ্চিমমুখী লাং উ সড়কে ও এর আশপাশে জড়ো হয়েছে। ওই এলাকায় মোতায়েন করা কয়েক শতাধিক দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের অগ্রসর না হওয়ার জন্য সতর্ক করেছে।
কালো মুখোশ ও দস্তানা পরিহিত এক তরুণ বলেন, ‘তারা আইনটি প্রত্যাহার না করার আগ পর্যন্ত আমরা স্থান ছাড়ব না। ক্যারি ল্যাম আমাদের অবমূল্যায়ন করেছে। আমরা তাকে এটি পাস করাতে দেব না।’
হংকংয়ের পার্লামেন্টে চীনপন্থী হিসেবে পরিচিত আইনপ্রণেতারা অপরাধী প্রত্যাবাসন আইনের প্রস্তাব করেছেন। আইনটিতে পলাতক অপরাধীদের বিচারের জন্য চীনে প্রত্যাবাসনের বিধান রাখা হয়েছে। সমালোচকদের দাবি, এই আইনটি চীনকে তার রাজনৈতিক বিরোধীদের হংকং থেকে বেইজিংয়ে নেওয়ার সুযোগ করে দেবে। এছাড়া এতে যেমন অপরাধীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবে এবং হংকংয়ের ওপর চীনকে হস্তক্ষেপের সুযোগ করে দেবে।
সোমবার বিলটি বাতিলের দাবিতে কয়েক লাখ লোক বিক্ষোভ করে। তবে এরপরও ক্যারি ল্যাম বিলটি পাশ করানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিলটিতে অতিরিক্ত সংশোধনী এনে এতে মানবাধিকার রক্ষার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
বুধবার ৭০ আসনের আইন পরিষদে বহিঃসমর্পণ বিলটি নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিতর্ক হওয়ার কথা ছিল। তবে আইন পরিষদ এক বিবৃতিতে এটি স্থগিত করেছে।
বুধবার সকালে অনেক বিক্ষোভকারী পুলিশের সরে যাওয়ার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বিক্ষোভস্থলে খাদ্য, পানি, চিকিৎসা উপকরণ সরবরাহ করেছে। কেউ কেউ ইটের টুকরা জড়ো করেছে। বিক্ষোভ পরিস্থিতিরি কারণে এইচএসবিসি এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টর্ডসহ চারটি বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্মীদের কাজের ক্ষেত্রে নমনীয়তা প্রদর্শণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।