ডিএমপি নিউজঃ প্রাইভেটকারের চাপায় পথচারী বৃদ্ধ গোয়ালা হরিদাস গোপের মৃত্যুর ঘটনায় দীর্ঘ ২ বছর পলাতক থাকার পর ঘাতক প্রাইভেটকার চালককে গ্রেফতার করেছে পিবিআই ঢাকা মেট্রো-উত্তর। গ্রেফতারকৃতের নাম-মোঃ নুরুল আমিন (৫৯)।
গত ২২ জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ০৭.৩০ টায় মোহাম্মদপুর থানাধীন বাবর রোডের জহুরা মহল্লা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট, ২০১৭ সকাল ০৯.১৫ টায় পল্টন থানাধীন ২৮ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, সোনালী ব্যাংকের সামনে ভিকটিম হরিদাস গোপকে রাস্তা পার হওয়ার সময় ঘাতক চালক মোঃ নুরুল আমিন বেপরোয়া গতিতে প্রাইভেটকার চালিয়ে চাপা দিলে হরিদাস গোপের পায়ের হাঁটুর নীচে ভেঙ্গে যায় এবং মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে চালক নুরুল আমিন গাড়ি ফেলে রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে গৌতম গোপ বাদী হয়ে গত ১৩ আগস্ট,২০১৭ প্রাইভেটকার চালক মোঃ নুরুল আমিন এর বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পিবিআই সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম হরিদাস গোপ নিজের বাড়িতে ঘি তৈরি করে ঢাকা শহরের পল্টন ও পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করতো।ভিকটিম হরিদাস গোপকে চাপা দেয়া ঘাতক প্রাইভেট কারের চালক নুরুল আমিন প্রাইভেট কারটি ফেলে রেখে কৌশলে পালিয়ে যায় এবং ঘটনা সংঘটনের পরেই সে তার মোবাইল সিম ও ফোনটি ফেলে দিয়ে আত্মগোপন করে। উক্ত প্রাইভেটকারের মালিক শাহআলম মামলা রুজু হওয়ার পর বিজ্ঞ আদালতের আদেশে তার প্রাইভেটকারটি নিজ জিম্মায় গ্রহণ করেন। তদন্তকালে উল্লেখিত মালিককে জিজ্ঞাসাবাদকালে তিনি শুধুমাত্র চালকের একটি জাতীয় পরিচয়পত্র সরবরাহ করে, যার নম্বরগুলো অস্পষ্ট ছিল। এছাড়া তার নিকট চালক সম্পর্কিত আর কোন তথ্য ছিল না। পরবর্তী সময়ে উক্ত চালক নুরুল আমিনের পরিচিত এক ব্যক্তির মাধ্যমে পূর্বের কর্মস্থল হতে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি পাওয়া যায়। মামলাটি তদন্তকালে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে পিবিআই উল্লেখিত ঘাতক চালক নুরুল আমিনকে সনাক্ত ও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।