রোববার সকাল ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ও বি ব্লকের মধ্যবর্তীস্থল বটতলা থেকে বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশ প্রদক্ষিণ করে। র্যালি শেষে দুপুর সাড়ে ১২টায় বি ব্লকের শহীদ ডা. মিলন হলে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া বলেন, প্রত্যেকে নিজের হার্টের যত্ন নিন এবং নিজের হার্টকে হিরোর মতো তৈরি করুন। চর্বিযুক্ত খাবার ও ধূমপান বর্জন, সুষম খাদ্য খাওয়া, নিয়মিত হাঁটা ও ব্যায়ামের মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব।
কর্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আলী আহসান বলেন, পরিবারের প্রত্যেককে খাবারের প্রতি সচেতন হতে হবে। রান্নায় কম তেল ব্যবহার করতে হবে। টেনশন মুক্ত কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। মানুষকে হাঁটার জন্য সুন্দর পরিবেশের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। ২০১২ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, মানুষের মৃত্যুর অর্ধেক (৫০ শতাংশ) হচ্ছে নন কমিউনিকেবল ডিজিজে। হৃদরোগ তার মধ্যে অন্যতম। ২০২৫ সালের মধ্যে নন কমিউনিকেবল ডিজিজের মৃত্যুহার ২৫ শতাংশে কমিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলে তাঁদের কার্যক্রম শুরু করেছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশেই হৃদরোগের বিশ্বমানের চিকিৎসা রয়েছে। তাই হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নাই।
এ সকল কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া। বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন কর্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আলী আহসান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন হার্ট ফেলিউর, রিহ্যাবিলিটেশন এন্ড প্রিভেনশন কার্ডিওলজি-এর হেড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ডা. মোঃ হারিসুল হক। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অধ্যাপক ডা. মনজুর মাহমুদ। সেমিনারে কার্ডিওলজি বিভাগের সম্মানিত শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।