গত বছর আগস্টে জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য বৃহত্তর স্বার্থে ই-সিগারেটের বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারির পরামর্শ দিয়েছিল ভারতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সেই পরামর্শ মেনে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
সিগারেটের আসক্তি কাটাতে অনেকেই ই-সিগারেট ব্যবহার শুরু করেছিলেন। কিন্তু তাতে সমস্যা বাড়ছিল। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা বারবার ই-সিগারেটের ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলি সম্পর্কে সচেতন করছিলেন।
ই-সিগারেটের তরল মিশ্রণ (ই-লিকুইড)-এর মধ্যে থাকে প্রপেলিন গ্লাইসল, গ্লিসারিন, পলিইথিলিন গ্লাইসল, নানাবিধ ফ্লেভার এবং নিকোটিন। গরম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রাসায়নিক গুলি থেকে সাধারণ সিগারেটের ধোঁয়ার সমপরিমাণ ফরমালডিহাইড উৎপন্ন হয়। ফলে ভয়ানক ক্ষতির আশঙ্কা থেকে যায়।
এবার ভারতের উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের সরকার ঘোষণা করল, রাজ্যে কোথাও কেউ ই-সিগারেট কিনলে বা কোনও রকম বিজ্ঞাপন দিলে অথবা উত্পাদনের সঙ্গে যুক্ত থাকলে এক বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। সঙ্গে হতে পারে এক লাখ টাকা জরিমানা।
ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি ওপি সিং বিভিন্ন জেলার পুলিশ আধিকারিকদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। তাতে লেখা রয়েছে, ই-সিগারেট নিয়ে সরকারের নিষেধাজ্ঞা পালন করতে হবে। না হলে কড়া পদক্ষেপের নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের প্রশাসন। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কারও কাছে ই-সিগারেট মজুত থাকলে তা যেন নিকটবর্তী থানায় গিয়ে জমা দিয়ে আসেন।