সিরিয়ার তেলক্ষেত্রগুলোর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার জন্য সেখানে আমেরিকার সেনা মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় । পেন্টাগন থেকে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে, কুর্দি গেরিলাদেরকে তহবিল যোগানোর জন্য আমেরিকা এই ব্যবস্থা নেবে। গত সপ্তাহে পেন্টাগন হুমকি দিয়ে বলেছিল, যেকোন পক্ষ সিরিয়ার তেলক্ষেত্রগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে গেলে তাদের ওপর সামরিক শক্তি প্রয়োগ করবে আমেরিকা। এরপর আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জোনাথন হফম্যান গতকাল (বৃহস্পতিবার) সাংবাদিকদের বলেন, তেলক্ষেত্রগুলো থেকে যে আয় হবে তা কুর্দি গেরিলাদের নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস বা এসডিএফ-কে সরবরাহ করা হবে। তিনি জোরালো গলায় দাবি করেন, এই অর্থ আমেরিকার পকেটে যাবে না, পুরো অর্থ এসডিএফ-কে দেয়া হবে।
গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, সিরিয়ার তেলক্ষেত্রগুলোর নিরাপত্তা রক্ষার জন্য মার্কিন সেনারা সেখানে অবস্থান করবে। সিরিয়া এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পক্ষগুলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পরে এ ঘোষণার বিরোধিতা করে আসছেন।
বাস্তবতা হচ্ছে- স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে সিরিয়ার জনগণ এবং তাদের প্রতিনিধি হিসেবে সিরিয়ার সরকার দেশের তেলক্ষেত্রগুলো থেকে তেল উৎপাদন করার একমাত্র বৈধ অধিকারী শক্তি। সেক্ষেত্রে আমেরিকা যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা নিতান্তই দখলদারিত্ব ছাড়া আর কিছু নয়।