একের পর এক বল ডট দিয়ে ১ রানের জন্য শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি আর পাননি। অপরাজিত ছিলেন। বার্বাডোজে সেই মিসবাহ-উল হক আবার ৯৯-এ বন্দি। এবার আউটই হয়ে গেলেন। জ্যামাইকা টেস্টেও নার্ভাস নাইন্টিজে তাঁকে পেয়ে বসেছিল। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে তাঁর ১ কম ১০০, তবে আজহার আলী শতক (১০৫) পূরণে ভুল করেননি। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮১ রানের লিড নিয়ে ৩৯৩-এ অলআউট হয় তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে ৪০ রান অবশ্য তুলে ফেলেছে ক্যারিবীয়রা, হারিয়েছে ১ উইকেট।
ক্রিকইনফো থেকে জানা যায়, টেস্ট ইতিহাসে মিসবাহই এখন একমাত্র ব্যাটসম্যান ক্যারিয়ারে যাঁর এখন তিনটি ৯৯ রানের ইনিংস। শেষ দুটি আবার টানা দুই ম্যাচে। সিরিজের তিন ইনিংসে এদিন প্রথম আউটও হয়েছেন মিসবাহ। আউট হওয়ার আগের বলে জেসন হোল্ডারের জোরালো এক এলবিডাব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেননি। চাপ কমাতেই কিনা পরের বলটাই পাকিস্তান অধিনায়ক পুল করতে গেলেন, তাতে ক্যাচ দিলেন দ্বিতীয় স্লিপে।
চা বিরতির আগে আগে আসাদ শফিকের সঙ্গে ৫৭ রানের জুটিটা ভাঙার পর পাকিস্তান দ্রুত আরো দুটি উইকেট হারায়। বড় জুটি পরে আর হয়ইনি। শফিকের আগে আজহার আলীর সঙ্গে ৯৮ রানের জুটি মিসবাহর। ২৭৮ বলে ১০৫ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেছেন আজহার। দিনের মধ্যভাগ থেকেই পিচের গতি-প্রকৃতি অনেকটা পালটে যায়। এই সময়েই মিসবাহ-আজহার মিলে ২৬ ওভারে তোলেন মাত্র ৫৪ রান। পরের সময়টুকুতেও বোলাররাই ছড়ি ঘুরিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ৩১২ ও ১৪ ওভারে ৪০/১ (ব্রাথওয়েট ৮*, হেটমায়ার ২২*)।
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস : ১৪০ ওভারে ৩৯৩ (আজহার ১০৫, মিসবাহ ৯৯; হোল্ডার ৩/৪২, বিশু ৩/১১৬)।