মাত্র চৌত্রিশ বছর বয়সেই বিশ্বের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নজির গড়লেন সানা ম্যারিন। তিনি ছিলেন ফিনল্যান্ডের পরিবহণমন্ত্রী।
ডাকবিভাগে ধর্মঘট নিয়ে মতপার্থক্যের জেরে জোটসঙ্গী সেন্টার পার্টি সমর্থন তুলে নেওয়ায় সম্প্রতি সরকার ভাঙে ফিনল্যান্ডে। আস্থা ভোটে হেরে গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন অ্যান্টি রিনে। সেই শূন্য আসনেই ম্যারিনকে নির্বাচিত করেছেন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা। খুবই অল্প ভোটে জিতে তিনি শপথ নিতে চলেছেন।
কূটনীতিকরা বলছেন, ম্যারিনের সামনে এখন বিস্তর চ্যালেঞ্জ। ডাকবিভাগের ৭০০ কর্মীর বেতন ছাঁটাই নিয়ে এখনও অচলাবস্থা রয়েছে এই নর্ডিক দেশটির একাংশে। চাপের মুখে পদত্যাগ করেছেন দলীয় নেত্রী। পিছু হটেছেন ডাক বিভাগের সংস্কার সিদ্ধান্তেও। এখন রিনের উত্তরসূরি হিসেবে যাবতীয় পরিস্থিতির সামাল দিতে হবে কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রীকে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে ফিনল্যান্ডের উপরেও গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর চাপ রয়েছে।
কূটনীতিকদের একাংশ বলছেন, তরুণ নেত্রীকে ঘিরে উৎসাহের মেজাজ ধরা পড়েছে দেশের একটা বড় অংশে। ফিনল্যান্ডে এই মুহূর্তে যে পাঁচটি দলের জোট সরকার, তার সব ক’টিরই নেতৃত্বে মেয়েরা। সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে ম্যারিন, বামপন্থী জোটের নেতৃত্বে বছর বত্রিশের লি অ্যান্ডারসন, মধ্যপন্থী জোটে ৩২ বছর বয়সি ক্যাট্রি কালমানি, গ্রিন লিগে ৩৪ বছরের মারিয়া ওহিসালো এবং সুইডিশ পিপলস পার্টি অব ফিনল্যান্ডের নেতৃত্বে আছেন ৫৫ বছর বয়সি অ্যানা–মাজা হেনরিকসন।
ইতিমধ্যেই নিউজিল্যান্ডের মহিলা প্রধানমন্ত্রী অনূর্ধ্ব–৪০ জেসিন্ডা আর্ডের্নের সঙ্গে তুলনা শুরু হয়ে গিয়েছে ম্যারিনের। জেসিন্ডার মতো তিনিও সদ্য মা হয়েছেন। মেয়ে এমার বয়স সবে এক। ঘর সামলেই এখন দেশ সামলাতে সবে ম্যারিনকে।