বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদকারীদের উপর সরকার সমর্থকদের হামলার ঘটনায় ভারত সরকারের ভূমিকা নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন কমিশন (ইউএসসিআইআরএফ)। বুধবার কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
কমিশনের অভিযোগ, মুসলিমদের টার্গেট করে হামলা চালানো হচ্ছে। ইউএসসিআইআরএফ বলেছে, নৃশংস ও লাগামছাড়া সহিংসতা রুখে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ভারত সরকার।
অবশ্য মার্কিন কমিনের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র দফতর। দফতরের মুখপাত্র রবীশ কুমার টুইটারে বলেন, ‘ইউএসসিআইআরএফ-এর অভিযোগ একেবারেই সঠিক নয়। মনে হচ্ছে, বিষয়টির রাজনীতিকরণই ওদের উদ্দেশ্য। সহিংসতা রুখে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে কাজ করছেন আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা আমাদের সংস্থাগুলো।’
ইউএসসিআইআরএফ-এর ওয়েবসাইটে ভারতের ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফর শেষ হতেই প্রাণঘাতী দাঙ্গায় তেতে উঠেছে উত্তর-পূর্ব দিল্লি। মুসলিমদের নিশানা করে উন্মত্ত জনতা হামলা চালাচ্ছে বলে জানতে পেরেছি আমরা। তাতে এখন পর্যন্ত অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ২০০ জন। বেশ কিছু মসজিদ জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে, ভাঙচুর হয়েছে বলেও জানতে পেরেছি আমরা। এমন পরিস্থিতিতে এলাকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন বহু মুসলিম। গত বছর ডিসেম্বর থেকে দেশজুড়ে সিএএ বিরোধী আন্দোলন চলাকালীনই এই অশান্তি দানা বেঁধেছে।’
ইউএসসিআইআরএফ-এর কমিশনার অনুরিমা ভার্গব বলেন, ‘‘দিল্লিজুড়ে যে নৃশংস এবং লাগামছাড়া সহিংসতা চলেছে, তা চলতে দেয়া যায় না। সমস্ত নাগরিককে নিরাপত্তা দিতে অবিলম্বে পদক্ষেপ করা উচিত ভারত সরকারের। অথচ তার বদলে খবর আসছে, মুসলিমদের উপর হামলা রুখতে কোনো ভূমিকাই নেয়নি দিল্লি পুলিশ। নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার।’