লুঙ্গি এনগিদি ও মালান যুগলের নৈপুণ্যে ব্লোমফন্টেইনে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচ জয়ের ফলে এক ম্যাচ বাকি থাকতে সিরিজও নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিকরা।
২৭২ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংসের তৃতীয় বলেই প্রোটিয়া অধিনায়ক কুইন্টন ডি কককে (০) বোল্ড করেন মিচেল স্টার্ক। দ্বিতীয় উইকেটে জন-জন স্মাটকে নিয়ে সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন মালান। তারা যোগ করেন ৯১ রান।
২১তম ওভারে এসে অ্যাডাম জাম্পার শিকার হন স্মাট (৪১)। এরপর দ্রুতই আরও একটি উইকেট তুলে নিয়ে প্রোটিয়াদের ফের চাপে ফেলে দেয় অস্ট্রেলিয়া। কাইল ভেরেন ৩ রান করে আউট হন প্যাট কামিন্সের বলে। ১০৩ রানে ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
চতুর্থ উইকেটে হেনরিক ক্লাসেনকে নিয়ে ৮১ আর পঞ্চম উইকেটে ডেভিড মিলারের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৯০ রানের জুটিতে ম্যাচ বের করে মাঠ ছেড়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ক্লাসেন ৫১ রানে ফেরার পর মিলার অপরাজিত থাকেন ৩৭ রানে। আর ক্যারিয়ারের মাত্র দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এসেই দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরির দেখা পান মালান। ১৩৯ বলে ৭ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় হার না মানা ১২৯ রানের ইনিংস খেলেন ২৩ বছর বয়সী এই তরুণ।
এর আগে পুরো ৫০ ওভারই ব্যাটিং করতে পারলেও ২৭১ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। অ্যারন ফিঞ্চ আর ডি’আরকি শর্টের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে এই লড়াকু পুঁজি পায় সফরকারিরা।
অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার পুঁজিটা আরও বড় হওয়ার ইঙ্গিত ছিল শুরুতে। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে যে রীতিমত ঝড়ো সূচনা করেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার আর অ্যারন ফিঞ্চ। ৩৯ বলের উদ্বোধনী জুটিতে তারা তুলেন ৫০ রান।
কিন্তু ২৩ বলে ৩৫ রান করে ওয়ার্নার লুঙ্গি এনগিদির শিকার হয়ে ফেরার পরই খেই হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। ১৩তম ওভারে টানা দুই বলে স্টিভেন স্মিথ (১৩) আর মার্নাস লাবুশানেকে (০) আউট করেন ওই এনগিদিই।
এরপর ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন ফিঞ্চ আর শর্ট। চতুর্থ উইকেটে ৭৭ রানের জুটি গড়েন তারা। ৮৭ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৬৯ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন ফিঞ্চ। তবে শর্ট আরও অনেকটা পথ এগিয়ে দেন দলকে।
পঞ্চম উইকেটে ৬৬ রানের আরেকটি জুটি শর্ট আর মিচেল মার্শের। শর্টও ফিঞ্চের মত ৬৯ রান করেই ফিরলে ভাঙে এই জুটি। ৮৩ বলে ৫ বাউন্ডারিতে হাফসেঞ্চুরি ইনিংসটি সাজান শর্ট।
এরপর লুঙ্গি এনগিদির ফের আক্রমণ। পরের ব্যাটসম্যানদের আর দাঁড়াতে দেননি এই পেসার। ৫৮ রান খরচায় একাই ৬ উইকেট নেন তিনি। ২ উইকেট নেন এনরিচ নর্টজে।