ডিএমপি নিউজ: ঝিনাইদহ এলজিইডি অফিসের ড্রাইভার হাসানুজ্জামান ওরফে জগলু হত্যার রহস্য উন্মোচনসহ ঘটনার সাথে জড়িত ভিকটিমের নিজ স্ত্রী তাহমিনা পারভীন তমা, ড্রাইভার আলী ও অপর দুই সহযোগী মুরসালিন ওরফে মিশু (২৪) ও আলামিন (২৩) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই)।
পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসআইএন্ডও) রীমা সুলতানা ডিএমপি নিউজকে জানান, গত বছরের ২৮ আগস্ট যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানার সাতমাইল এলাকার ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের পাশে অজ্ঞাতনামা পুরুষের মৃতদেহ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ফেসবুকের মাধ্যমে তার পরিচয় সনাক্ত করা হয়। নিহত ব্যক্তি এটিএম হাসানুজ্জামান ওরফে জগলু হিসেবে সনাক্ত হন। যিনি ঝিনাইদহের এলজিইডি অফিসে ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এই বিষয়ে নিহতের বড়ভাই বাদী হয়ে যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকতা পুলিশ পরিদর্শক গাজী মোঃ মাহবুবুর রহমান ডিএমপি নিউজকে বলেন, নিহত ব্যক্তির ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও চাকুরি সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে নিহত ব্যক্তির স্ত্রীর (তাহমিনা পারভীন তমা) সহিত দাম্পত্য সম্পর্ক অবনতির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেয়া হয় এবং তার স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ঘটনার সহিত নিজের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা অনুযায়ী স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। একই সাথে ঘটনার সহিত জড়িত ড্রাইভার হোসেন আলীকে গ্রেফতার করলে সেও বিজ্ঞ আদালতেফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা অনুযায়ী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়।
নিহত ব্যক্তির স্ত্রী ও ড্রাইভারের দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি মোতাবেক হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে জড়িত মুরসালিন ওরফে মিশু (২৪) কে নারায়নগঞ্জ থেকে ও আলামিন (২৩) কে ঢাকার মিরপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য আসামীদ্বয় ঘটনার পরপরই নিজেদেরকে অপরাধ থেকে বাঁচানোর জন্য গোপনে ভারত প্রবেশ করেছিল।
গ্রেফতারকৃত মুরসালিন ওরফে মিশু ও আলামিন ১২/০৩/২০২০ খ্রিঃ ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা অনুযায়ী দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে।