করোনা হামলায় মৃতের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনই সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরার পরিসংখ্যান রীতিমতো আশার কথা। তবে ইতালি, স্পেন, আমেরিকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণে একটার পর একটা নগর-জনপদ উজাড় হয়ে যাচ্ছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটার এবং হু তথ্য জানাচ্ছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত এই মারণ ভাইরাসের হামলায় বিশ্ব জুড়ে মারা গেছেন ৩৭ হাজার ৬৮৬ জন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪৪০ জন। এর মধ্যে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৩৮৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বিবিসি, এএফপি সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর, সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত ইতালি ও স্পেন। এই দুই দেশে মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
মৃত্যুর দেশ ইতালি: খুবই করুণ পরিস্থিতি। ইতালিতে ১১ হাজার ৫৯১ জন মৃত মঙ্গলবার পর্যন্ত। রাস্তায় রাস্তায় মৃতদেহ বহনকারী গাড়ি দাঁড়িয়ে। কবরেও যেন ঠাঁই নেই দেহগুলির। সরকারি চিকিৎসা বিভাগ প্রায় হাল ছেড়ে দিয়েছে।
মৃতদেহে ঢাকছে স্পেন: করোনাভাইরাস প্রথম ছড়ায় চীনে। কিন্তু মৃতের সংখ্যায় চীনের চেয়ে এগিয়ে স্পেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত ৭ হাজার ৭১৬ জন মারা গিয়েছেন।
আমেরিকায় হাহাকার: পরিস্থিতি যেরকম তাতে অচিরেই স্পেন এ ইতালির তুলনায় ভয়াবহ হতে চলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মার্কিন সরকারের আশঙ্কা, দেশে করোনার হামলায় দু লক্ষের বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
গণ কবরের দেশ ইরান: এশিয়ায় চীনের পর সর্ব প্রথম ইরানেই তাণ্ডব চালিয়েছিল করোনাভাইরাস। ২,৭৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এই দেশে। মৃতদেহগুলিকে গণ কবর দিতে হয়েছে। এতে সংক্রমণ খানিকটা কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
চীন আগেই মৃত্যুপুরী: গত বছর ডিসেম্বর মাসে চীনের উহান শহরে প্রথমবার ছড়ায় কোভিড-১৯ জীবাণু। ৩ হাজার ৩০৫ জনের জীবন নিয়ে একটু হলেও কমেছে করোনা সংক্রমণ।
মলিন ফ্রান্সে মৃত্যুর ছবি: ৩ হাজার ২৪ জন মত। ফ্রান্স রীতিমতো করোনা বিরোধী যুদ্ধ ঘোষণা করেও সামলাতে পারল না। ফলে তিন হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু দেখে ক্রমে মলিন হয়েছে ফরাসি লাবণ্য়।
ব্রিটেনে মহামারির প্রকোপ: বাদ নেই ব্রিটেন। করোনা হামলায় ইংল্যান্ড যে ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে তা ১০০০ পার করা মৃতদেহের সংখ্যা বলে দেবে।
এছাড়া, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়াসহ পুরো ইউরোপেই করোনা হামলায় শত শত মানুষ। সুদূর দক্ষিণ আমেরিকাতেও করোনা ছোবল মেরেছে। ব্রাজিলে কালো ছায়া। আরও দেশে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ছড়ালেও মৃত্যুর হার কম।