সারা বিশ্বে যখন করোনা তান্ডব চালাচ্ছে ঠিক তখন জেলের চক্কর দিয়েই সময় কেটেছে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি ফুটবলার রোনালদিনহোর। ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে প্যারাগুয়েতে প্রবেশ ও বিমানবন্দরে ধরা পড়ে সেদেশে ৬ মাসের জেল হয় এই ব্রাজিলিয়ানের। করোনা আতঙ্কে যখন সারা বিশ্ব কাঁপছে ঠিক তখন ৩২ দিন পর বিশাল অঙ্কের মুচলেকা দিয়ে কারামুক্তি হলেন তিনি।
এক্ষেত্রে তাঁর কপাল ভালোই বলতে হয়। এসব প্রতারণার মামলায় খুব সহজে বেইল দিতে চায় না ওসব দেশের আদালত। সেখানে ছয় মাসের শাস্তি পেলেও, ৩২ দিনের মধ্যেই বের হতে পারলেন তিনি।
তবে এখনই পুরোপুরি মুক্তি নন রোনালদিনহো। তাকে থাকতে হবে ‘হাউজ অ্যারেস্ট’ অবস্থায়। এর জন্য অবশ্য বিশাল অঙ্কের মুচলেকা দিতে হয়েছে তাকে। প্রায় ১৩ লাখ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪ কোটি টাকার কাছাকাছি) খরচা করেই কারাবন্দী জীবন থেকে মুক্ত হলেন ব্রাজিলিয়ান জাদুকর।
গত মাসের ৬ তারিখ নিজের ভাই রবার্তোকে সঙ্গে নিয়ে প্যারাগুয়ে যাওয়ার সময়ে জাল পাসপোর্টসমেত বিমানবন্দরে ধরা পড়েন রোনালদিনহো। শুরু থেকেই তিনি বলে আসছেন, এই জাল পাসপোর্টের ব্যাপারে তার কিছু জানা নেই। কারণ সবকিছুর ব্যবস্থা করেছে তাকে আমন্ত্রণ জানানো প্রতিষ্ঠান।
কিন্তু তাতে কি আর আইনের মন গলে? কোন কথা না শুনে চালান করে দেয়া হয় জেলহাজতে এবং ছয় মাসের শাস্তি হয় শুনানিতে। জেলের মধ্যে থেকেই বের হওয়ার সকল চেষ্টা করছিলেন রোনালদিনহো। অবশেষে মঙ্গলবার বিশাল অঙ্কের মুচলেকা দিয়েই কারামুক্ত হলেন তিনি।
এখন হাউজ অ্যারেস্ট অবস্থায়ও প্যারাগুয়েতেই অবস্থান করতে হবে রোনালদিনহোকে। দেশটির রাজধানী আসুনসিওনে একটি হোটেলে বাকি ৪ মাস ২৮ দিনের শাস্তিভোগ করতে হবে ৪০ বছর বয়সী এ তারকা ফুটবলারকে।