আদি বুড়িগঙ্গা, সাভারের ধলেশ্বরী, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও পাবনার বড়াল নদী দখল ও দূষণমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাবনার চাটমোহর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নদী ভরাট করে মার্কেট তৈরির কাজ বন্ধ এবং পাবনা শহরের ইছামতি নদী খনন করার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খান।
রোববার সচিবালয় নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদীসহ ঢাকার চারপাশে নদীগুলোর দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত ‘টাস্কফোর্স’ এর ৩৫তম সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
নৌপরিবহণ মন্ত্রী ও টাস্কফোর্স এর সভাপতি শাহজাহান খানে সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ভুমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে সচিব অশোক মাধব রায়, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মো: আতাহারুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ও সংস্থার কর্মকর্তাগণ।
সভায় জানানো হয় যে, নদীর দু’পাড়ে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। নদীর সীমানা চিহ্নিত করার লক্ষ্যে জরীপ অধিদপ্তর থেকে নকশা তোলার কাজ চলমান রয়েছে। এ পর্যন্ত ৮৬০ টি নকশা তোলা হয়েছে। বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অননুমোদিত ৪৫ টি ধর্মীয় স্থাপনা বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের সাথে আরো আলোচনা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।