ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন; যিনি বিদায়ী কমিটিতে প্রথম সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন।
সফিউল ইসলাম বিজিএমইএর সভাপতি ছিলেন। তিনি আবদুল মাতলুব আহমাদের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি মোনতাকিম সংসদ সদস্য অধ্যাপক মো. আলী আশরাফের ছেলে। আশরাফ এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের মূল দায়িত্বে ছিলেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফেডারেশন ভবনে নির্বাচিত পরিচালকদের প্রথম সভায় এই তিনজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন বলে জানান নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান আলী আশরাফ।
তিনি বলেন, “সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি পদে কোনো প্রার্থী ছিলেন না। অন্যদিকে সহসভাপতি পদে আটজন প্রার্থী থাকলেও তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে মোনতাকিম আশরাফকে সমর্থন দেন।”
এফবিসিসিআই নির্বাচনে চেম্বার গ্রুপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পর রোববার অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের ভোটেও জয় পায় সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন প্যানেল সম্মিলিত গণতান্ত্রিক পরিষদ।
অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপে গণতান্ত্রিক পরিষদের ১৬ জন বিজয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরাম থেকে জয়ী হন দুজন কাজী এরতেজা হাসান ও হেলেনা জাহাঙ্গীর।
গণতান্ত্রিক পরিষদ থেকে বিজয়ীরা হলেন- খন্দকার মঈনুর রহমান জুয়েল, এসএম জাহাঙ্গীর হোসাইন, সাফকাত হায়দার, আবুল আয়েস খান, মুনতাকিম আশরাফ, নিজামুদ্দিন আহমেদ, আমজাদ হোসাইন, শফিকুল ইসলাম ভরসা, আবু মোতালেব, হাবিবুল্লাহ ডন, খন্দকার রুহুল আমিন, নিজামুদ্দিন রাজেশ, হাফেজ হারুন, শমী কায়সার, আবু নাছের ও রাশেদুল হোসাইন চৌধুরী রনি।
এফবিসিসিআইয়ের ৬০টি পরিচালক পদের মধ্যে চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ১২ জন করে মোট ২৪ জন পরিচালক মনোনীত হন।
বাকি ৩৬টি পদের মধ্যে চেম্বার গ্রুপের ১৮টি এবং অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের ১৮টি পদে সরাসরি নির্বাচনের নিয়ম থাকলেও এবার চেম্বার গ্রুপে সফিউলের প্যানেলের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।