মিত্র শক্তি আমেরিকা ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমা শহরে পারমানবিক বোমা ’লিটল বয়’ নিক্ষেপ করেছিল। যে বোমার ক্ষয়ক্ষতি সমন্ধে মানুষ শুধু বইয়ের পাতাতেই পড়েছিল। ২য় বিশ্বযুদ্ধের বদৌলতে সেবার তা মানুষ প্রত্যক্ষ করেছিল।
২য় বিশ্বযুদ্ধের পরিসর ও বিস্তৃতি এতটাই বিশাল ছিল যে, প্রতিটি রাষ্ট্রই এ যুদ্ধে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছিল।আমেরিকা যুদ্ধের একদম শেষের দিকে কাজটি করেছিল। অনেক বিশ্লেষক মনে করে থাকেন, জাপানকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করতেই এই ব্রহ্মাস্র ব্যবহার করা হয়েছিল। যা ছিল পৃথিবীর ইতিহাসের একটি জঘন্যতম অধ্যায়।
২য় বিশ্বযুদ্ধ আদৌও এড়ানো সম্ভব ছিল কিনা সেটা ইতিহাসের আলোচ্য বিষয়। তবে অন্নদাশঙ্কর রায়ের ভ্রমনকাহিনী নির্ভর বইতে এ নিয়ে কিছু আগাম মন্তব্য পাওয়া যায়। বইটি প্রকাশিত হয়েছিল ২টি বিশ্বযুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে। তিনি তখন ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষানবিশ হিসাবে লন্ডনে ছিলেন। ইংল্যান্ড সমন্ধে বলেছিলেন, যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনে নেমেছে, অথচ তারই সঙ্গে ভারী যুদ্ধ সামাল দেওয়ার মহড়াও চলছে। জার্মানী ঘুরে এসে মন্তব্য করেছিলেন, যেরূপ উৎসাহ, আগ্রহ ও সহিষ্ণুতার সঙ্গে যৈাবনচর্চা করছে তা দেখে মনে হয় ভাবীকালের জার্মান জাতিকে নিয়ে আবার বিপদ বাধবে। তার এ আশঙ্কা পরে সত্যে পরিণত হয়েছিল।