প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিকূল আবহাওয়ায় নদীপথে চলাচলরত নৌযানগুলোর চালকসহ সংশ্লিষ্টদের যথাযথ সতর্কতা অবলম্বনের আহবান জানিয়েছেন।
আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া ‘নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০১৭’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বানীতে প্রধানমন্ত্রী এই আহবান জানান।
নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ আগামীকাল ২১ মে থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৭ মে পর্যন্ত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘দেশ যাবে এগিয়ে যাত্রা হোক নিরাপদ, নৌ আইন মানবো মোরা এটাই হোক অঙ্গীকার’ যথার্থ ও সময়োপযোগি হয়েছে।’
দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্যবিমোচনে নৌপরিবহনের গুরুত্ব অপরিসীম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বল্প মূল্যে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনে নৌযানের কোনো বিকল্প নেই। এজন্য প্রতিকূল আবহাওয়ায় নদীপথে চলাচলরত নৌযানগুলোকে যথাযথ সতর্ক ও সচেতন থাকার জন্য তিনি নৌযান মালিক, মাস্টার ও যাত্রী সাধারণসহ নৌযান সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, আশা করি, নৌ আইন মেনে চলার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলের সচেতনতায় নৌযান ও নৌপথ আরো নিরাপদ হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে দেশের ৫৩টি নৌপথের নাব্যতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি নৌ-নিরাপত্তা বৃদ্ধিসহ নৌযানকে আরো আধুনিকায়ন করতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তাবায়ন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে মেরিন সেক্টরে প্রশিক্ষিত জনবল তৈরির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে পাবনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুরে ৪টি মেরিন একাডেমির নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
এরমধ্যে ৩টির অবকাঠামো নির্মাণ চলতি বছরের মধ্যে শেষ হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশগামী জাহাজে দক্ষ নাবিক তৈরির লক্ষ্যে সরকার মাদারীপুরে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের একটি শাখা চালু করেছে। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ৬টি বিভাগীয় শহরে ইনস্টিটিউটের শাখা চালু করার পরিকল্পনাও তাঁর সরকার গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে নির্মিত নৌযান বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। যা নৌ-শিল্পের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। এদেশের প্রশিক্ষিত নৌসম্পদ দেশ-বিদেশের শ্রমবাজারের চাহিদা পূরণ ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সক্ষম হবে বলেও তিনি মনে করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার নৌ-প্রটোকলে যাত্রীবাহী জাহাজ অন্তর্ভুক্ত করতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিদেশি জাহাজে বাংলাদেশি নাবিকদের চাকুরির সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ২৬টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশি সনদের পারস্পরিক স্বীকৃতি স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।