ডিমে প্রচুর প্রোটিন থাকার কারণে একে ‘প্রোটিনের রাজা’ বলা হয়। ডিম আসলে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। শীতে এটি আমাদের শরীরকে উষ্ণ রাখার পাশাপাশি প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করে। তবে আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন ডিম খাওয়ার আগে কীভাবে পরীক্ষা করবেন? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিম্নমানের ডিম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
আসলে বাইরে থেকে ভালো অবস্থা দেখে লোকেরা ডিম কিনে নেয়। কিন্তু যখন এটি রান্না করতে বা সেদ্ধ করতে যাওয়া হয়, তবে এর আসল গুণ সম্পর্কে জানা যায়। মাত্র ২ মিনিটের মধ্যে ডিমের গুণগান পরীক্ষা করা যেতে পারে।
কিভাবে পরীক্ষা করবেন:
এক গ্লাসে পানি নিন। মনে রাখতে হবে গ্লাসটির পানি যেন অর্ধেকের চেয়ে কিছুটা বেশি ভর্তি হয়। এর পরে একটি ডিম নিয়ে পানিতে রাখতে হবে।
পানিতে ডুবিয়ে দেওয়ার পর ৩ টি অবস্থা দেখা যেতে পারে। প্রথমে ডিমটি যদি পানির একেবারে নীচে চলে যায় তবে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে ডিমটি ভালো। তবে যদি তা না হয় তবে ডিম খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
অন্যদিকে ডিমটি যদি পানির নীচে গিয়ে উল্লম্বভাবে দাঁড়িয়ে থাকে, তবে এর অর্থ হ’ল ডিমটি অনেক পুরানো এবং এটি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে। আর যদি দেখা যায় ডিম পানির ওপরে ভাসছে বা উপরে আসছে তবে ডিম পচা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা পচা ডিম না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। নিম্নমানের ডিম সালমোনেলা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সালমোনেলা এমন এক ধরণের ব্যাকটিরিয়া যা খাদ্য বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে।
অন্যদিকে একটি সুস্থ ডিম প্রোটিন পরিপূর্ণ হয়। কাঁচা ডিম খেলে রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর হয় এবং এটি মস্তিষ্ককেও উদ্দীপিত করে। তাই ডিম খাওয়ার আগে তার গুণমান পরীক্ষা করা আবশ্যক।