শীতে সাধারণত ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা দেয়। এসব রোগের মধ্যে টনসিল অন্যতম। টনসিল হলে ঢোক গিলতে ব্যথা, কথা বলতে কষ্ট, ঘন ঘন কাশি ছাড়াও টনসিলের সংক্রমণ থেকে কখনও কখনও জ্বরও আসে। প্রাথমিক অবস্থায় ঘরোয়া উপায়ে যত্ন নিলে টনসিল থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
আসুন তাহলে জেনে নেই শীতে টনসিল থেকে মুক্তির কিছু ঘরোয়া উপায়-
লবণ-পানি: গলা ব্যথা শুরু হলে যে কাজটি কম-বেশি আমরা প্রায় সকলেই করে থাকি তা হল, সামান্য উষ্ণ পানিতে লবণ দিয়ে গড়গড়া করা। এটি টনসিলে সংক্রমণ রোধ করে ব্যথা কমাতে খুবই কার্যকরী। শুধু তাই নয়, উষ্ণ লবণ-পানি দিয়ে গড়গড়া করলে গলায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামণের আশঙ্কা দূর হয়।
আদা চা: দেড় কাপ পানিতে এক চামচ আদার কুচির সাথে পরিমান মতো চা পাতা দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। দিনে অন্তত ৩-৪ বার এই পানীয়টি পান করুন। আদার অ্যান্টি ব্যকটেরিয়াল আর অ্যান্টি ইনফালামেন্টরি উপাদান সংক্রমণ ছড়াতে বাধা দেয়। এর সঙ্গে সঙ্গে গলার ব্যথা কমাতে খুবই কার্যকরী।
লেবুর রস: এক গ্লাস সামান্য উষ্ণ পানিতে ১ চামচ লেবুর রস, ১ চামচ মধু, আধা চামচ লবণ ভাল করে মিশিয়ে পান করুন। টনসিলের সম্যসা দূর করার জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকরী।
হলুদ দুধ: এক কাপ গরম দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে নিন। হলুদ অ্যান্টি ইনফ্লামেন্টরি, অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি উপাদান, যা গলা ব্যথা দূর করে টনসিলে সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে থাকে।
গ্রিন টি ও মধু: এক কাপ পানিতে আধ চা চামচ গ্রিন টি ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে মিনিট দশেক ফুটিয়ে নিন। দিনে তিন-চার এই চা খান। গ্রিন টি-র অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। জীবাণুর সঙ্গে লড়তেও সাহায্য করে। মধুর অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল উপাদান যে কোনও প্রদাহ ও সংক্রমণে আরাম দেয়।