তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপ-পুলিশ পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন গত ১ মার্চ বড় মিজানের এই রিমান্ড আবেদন করেন। ওইদিন আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে ৫ মার্চ রিমান্ড আবেদনের শুনানি দিন ধার্য করেন।
মামলার সুষ্টু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে এবং জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার করে বিচারের সম্মুখীন করা, অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার, মামলার তথ্য উদঘাটন করার লক্ষ্যে এ আসামিকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন বলে রিমান্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
উল্লেখ্য যে, বড় মিজানকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে বনানীর কাকলী ক্রসিং এর কাছাকাছি একটি বাস থেকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) এর স্পেশাল এ্যাকশন গ্রুপ।
বড় মিজান নব্য জেএমবির চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী শিবগঞ্জ এলাকার প্রধান দায়িত্বশীল। সে পূর্বে জুন্দ আল তাওহীদ নামক জঙ্গি সংগঠনের প্রধান সামরিক কমান্ডার ছিল। এরই নেতৃত্বে নব্য জেএমবির চাপাই সীমান্ত কেন্দ্রিক অস্ত্র ও গ্রেনেড তৈরির উপকরন, ডেটোনেটর ও জেল চোরাচালানের একটি চক্র বা সিন্ডিকেট তৈরি করে যারা নব্য জেএমবির প্রায় সকল অস্ত্র, ডেটোনেটর ও জেল সরবরাহ করে আসছিল। গুলশান হলি আর্টিজান হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেড ও পিস্তল গুলো বড় মিজানের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ঢাকায় নিয়ে আসা হয় এবং বসুন্ধরার তানভির কাদেরীর বাসায় তামিম চৌধুরীর কাছে পৌঁছানো হয় বলে সিটিটিসি সূত্রে জানা গেছে।