অক্সফোর্ডের ইংরেজি অভিধানে জায়গা করে নিল ‘ছোলার ডাল’ (চানা ডাল) আর ‘ছোলা’ (চানা)। অভিধানের সাম্প্রতিক সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই দুই বাঙালি খাদ্যসামগ্রীর নাম।
তবে, বাঙালি খাদ্যপণ্যের নাম অক্সফোর্ড অভিধানে ঠাঁই পাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ইতোমধ্যেই ভেলপুরি, চাটনি, ধাবা, ঘি, মশলা জায়গা করে নিয়েছে সেখানে।
সম্প্রতি নতুন শব্দগুলি অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা ঘোষণা করেছে অক্সফোর্ড। তাদের ত্রৈমাসিক পর্যালোচনায় উল্লেখ করা হয়েছে প্রায় ৬০০টি বিভিন্ন শব্দ ও ফ্রেজ (শব্দগুচ্ছ) অভিধানে জায়গা পাচ্ছে। শব্দগুলির জনপ্রিয়তার কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে। জীবনধারা থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি, শিক্ষাজগত থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী— সব ক্ষেত্রের জনপ্রিয় শব্দকেই এ বারের সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক কালে কোনও বিশেষ কারণে দুনিয়া জুড়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া অথবা পৃথিবীর জনসংখ্যার একটা বড় অংশের জীবনশৈলীর সঙ্গে মিশে গিয়েছে, এমন বিদেশি শব্দ জায়গা করে নিয়েছে অক্সফোর্ড অভিধানে।
২০১৬-র ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’-এর খেতাব জুটেছিল ‘পোস্ট-ট্রুথ’ শব্দটির। এ বছর কোন শব্দ এই খেতাব পেয়েছে, তা অবশ্য এখনও জানায়নি অক্সফোর্ড কর্তৃপক্ষ।
যদিও এ বছরের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ শিরোপার জন্য শব্দ তালিকা মনোনয়নের পর্ব শেষ। তালিকায় রয়েছে বর্ণ বিদ্বেষ বিরোধী লড়াইয়ের সঙ্গে যুক্ত শব্দও। ‘ওক’ নামক একটি শব্দ যুক্ত হয়েছে এ বার। যার অর্থ ‘বর্ণগত ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে সতর্কতা’।
‘ছোলা’ আর ‘ছোলার ডাল’ অভিধানে ঢুকে পড়ায় মনে করা হচ্ছে পশ্চিমের রেস্তোরাঁগুলোয় আরও জনপ্রিয় হবে ডালের রকমারি পদ। অতীতের উদাহরণ সে কথাই বলে। যেমন— ‘অ্যাকাডেমি’ শব্দটি যখন ঢুকে পড়েছিল অক্সফোর্ডের ইংরেজি অভিধানে, তার পরই ব্রিটেনের স্কুলগুলোতে এই শব্দের নতুন পরিচিতি পায়।