ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, প্রত্যেক হজযাত্রীকে দুই ধরনের (ম্যানেনজাইটিস ও ইনফ্লুয়েঞ্জা) টিকা প্রদানের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সনদ (হেলথ সার্টিফিকেট) প্রদান করা হবে। এছাড়াও ১৬ জুলাই আশকোনা হজ ক্যাম্প মেডিকেল সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা কেন্দ্র খোলা হবে।
সৌদি সরকারের সঙ্গে হজ চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৯৮ জন হজে যাওয়ার কথা রয়েছে। তাদের প্রত্যেককেই স্বাস্থ্য সনদ ও টিকা গ্রহণ করতে হবে।
আশকোনা হজ অফিসের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম সোমবার দুপুরে জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকা প্রদানের সর্বাত্মক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নির্ধারিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে হজ গমনেচ্ছুরা টিকা প্রদান ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে স্বাস্থ্য সনদ গ্রহণ করতে পারবেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
জানা গেছে, ঢাকা জেলা ও মহানগরীর হজযাত্রীরা বিভিন্ন হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা, ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা সরকারি কর্মচারি হাসপাতাল, ফুলবাড়িয়া ও বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিকে টিকা প্রদান ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা যাবে।
অন্যান্য জেলার হজযাত্রীরা বিভাগীয় শহরে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা শহরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে টিকা প্রদান ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে পারবেন। স্বাস্থ্য সনদটি বিমানবন্দরে প্রদর্শনের জন্য প্রত্যেক যাত্রীকে সংরক্ষণ করতে হবে।
এদিকে, কেন্দ্রসমূহে হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ম্যানেনজাইটিস/ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নিয়ে সংগৃহিত স্বাস্থ্যসনদ বিমানবন্দরে প্রদর্শনের নিমিত্তে নিজ হেফাজতে রাখতে হবে।
পরিচালক (হজ) ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলেন, হজ গমনেচ্ছুরা প্রাক-নিবন্ধন ক্রমিক নম্বর সনদ নিয়ে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে যাবেন। স্বাস্থ্যসনদ সংগ্রহ শেষে নিজেদের কাছে সংরক্ষণ করবেন। হজ অফিস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে হজ ক্যাম্পে রিপোর্ট করতে চিঠি পাওয়ার পর স্বাস্থ্যসনদ নিয়ে উপস্থিত হবেন। এর আগে তাদের হজ ক্যাম্পে আসার কোনো প্রয়োজন নেই।
উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জনের হজে যাওয়ার অনুমোদন হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে বাধ্যতামূলকভাবে স্বাস্থ্যসনদ সংগ্রহ ও টিকা নিতে হবে।