গুয়াহাটি ঘোষণার মাধ্যমে গতকাল আসামে বাংলাদেশ-ভারত ৮ম দফা মৈত্রী সংলাপ শেষ হয়েছে।
সংলাপের ঘোষণায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও দু’দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ঘাটতিতে ভারসাম্য আনতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এতে বলা হয়, বিগত ৭ বছরে দু’দেশের অর্জিত ভিশনারী অগ্রগতি দৃঢ় পদক্ষেপ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলো থেকে আরো ঘনিষ্ঠ তদারকির মাধ্যমে অব্যহত রাখতে হবে।
বৈঠকে দক্ষিণ এশিয়া বিশেষকরে ভারত ও বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধিতে পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতির প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়।
এতে ‘উত্তরপূর্ব ভারত ও বাংলাদেশ : সমৃদ্ধি অঞ্চল হিসেবে সীমান্ত’ শীর্ষক এক ভিশন ডকুমেন্ট ও গবেষণা পত্র তৈরা করে এক বাণিজ্য সম্মেলন আয়োজনের পরামর্শ দেয়া হয়।
৮ম সংলাপে টেকসই রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আস্থা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও অংশীদারিত্বভিত্তিক সমৃদ্ধির জন্য দুদেশের জনগণের মধ্যকার যোগাযোগ ও বাণিজ্য সম্পর্ক আরো সম্প্রসারিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এতে ২০৩০-এর জন্য দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ভিশনের পরামর্শ দেয়া হয়। সংলাপে ৬ষ্ঠ ও ৭দফা বৈঠকে নেয়া পদক্ষেপ বিশেষকরে শান্তিপূর্ণ সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, পানি ও জ্বালানী নিরাপত্তা, যোগাযোগ, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে বলা হয়, সভ্যতা – সংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতার জন্য শহীদদের আত্মত্যাগ এবং সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ভারত ও বালাদেশের মধ্যকার সম্পর্কের অটুট বন্ধন।
নবম দফা মৈত্রী সংলাপ আগামী বছরের প্রথম দিকে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত।