পানামাগেট কেলেঙ্কারিতে সুপ্রিমকোর্ট গঠিত জয়েন্ট ইনভেস্টিগেশন টিম (জেআইটি) নওয়াজ শরিফ ও তার পরিবারের সদস্যদের দোষী সাব্যস্ত করেছে। ফলে দুর্নীতির কেলঙ্কারিতে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারাতে পারেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
নওয়াজ প্রধানমন্ত্রীত্ব হারালে কে হবেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী? এমন প্রশ্নে দল সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলেছে, এক্ষেত্রে দলের কাণ্ডারি হতে পারেন নওয়াজ শরিফের ভাই পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। নওয়াজ শরিফকে অযোগ্য ঘোষণা করা হলে তিনিই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে আসতে পারেন।
এদিকে নওয়াজ শরিফ ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে অভিযুক্ত করে যৌথ তদন্তকারী দল বা জেআইটির দেয়া দুর্নীতির তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে নওয়াজ শরিফের পরিবার। প্রধানমন্ত্রী-পরিবার নিয়মবহির্ভূত অর্থ উপার্জন করেছে- এমন অভিযোগের অনুকূলে যথেষ্ট তথ্য পেয়েছে জেআইটি। সোমবার জেআইটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্জিত উপার্জনের চেয়েও অনেক বেশি সম্পদ রয়েছে শরিফ পরিবারের। তবে জেআইটির এ প্রতিবেদনকে সম্পূর্ণ রূপে প্রত্যাখ্যান করেছে শরিফ পরিবার ও তার মিত্ররা। এ প্রসঙ্গে নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ শরিফ এক টুইটার বার্তায় বলেন, জেআইটির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। যে কোনো অসংগতি কেবল তর্কবিতর্কের জন্ম দেয় তা নয়, বরং তা সুপ্রিমকোর্টের ওপর মানুষের অনাস্থা সৃষ্টিতে যথেষ্ট। খবর রয়টার্সের।
২০১৬ সালে পানামা পেপারস বিশ্বের নামিদামি ব্যক্তিদের অবৈধ ব্যবসায়ের গোপন নথি ফাঁস করে দিলে তাতে নওয়াজ শরিফ ও তার পরিবারের বেশকিছু সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়। এর পর পরই সুপ্রিমকোর্টের যৌথ তদন্তকারী দল এ বিষয়ে তদন্তে নামে। এ লক্ষ্যে চলতি বছরের এপ্রিলে গঠন করা হয় জেআইটি। যদিও প্রতিবেদনটি জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি, তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর কিছু তথ্য সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় বিরোধীদলীয় নেতা ইমরান খান নওয়াজ শরিফের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন।