ফেক নিউজ বা ভুয়া খবর মোকাবেলার জন্য ভারতে কয়েকজন উদ্যোক্তা এমন কিছু সফটওয়্যার বাজারে ছেড়েছেন – যা কোন খবর, ছবি বা ভিডিও সঠিক না হলে তা চিহ্নিত করতে পারবে।
অল্টনিউজ নামে একটি সফটওয়্যার একটি ভুয়া খবরের ঘটনা ধরে ফেলেছিল সম্প্রতি।
অনলাইনে একটি ভিডিও ছড়িয়েছিল যাতে একটি হিন্দু মেয়েকে মুসলিম জনতা মারধর করছে বলে দাবি করা হয়। হোয়টস এ্যাপে ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিওটির সাথে দেখা যায় একটি বার্তা – যাতে কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেবার দাবি জানানো হয়।
কিন্তু অল্টনিউজ বের করে যে ঘটনাটি আসলে ঘটেছিল মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায়, এবং সেটা দুই বছর আগে।
ভারতে এই ধরণের ফেক নিউজ সবচেয়ে বেশি ছড়ায় হোয়াটসএ্যাপ বা মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে। কারণ ভারতের মতো দেশে বেশিরভাগ লোকের ইন্টারনেট সংযোগ এই মোবাইল ফোন দিয়েই।
এরই বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে অল্টনিউজের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো। অল্টনিউজ গড়ে তুলেছেন প্রতীক সিনহা – যিনি পেশায় ছিলেন একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।
তার কথা, এসব ভিডিও অনেক সময়ই ছড়ায় কট্টরপন্থী মনোভাবসম্পন্ন লোকেরা – যাদের অনেকের ‘মুসলিম-বিদ্বেষী’ ঝোঁক আছে।
অল্টনিউজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা হোয়াটসএ্যাপে ‘ভাইরাল’ হওয়া বিভিন্ন খবরের তথ্য, ছবি বা ভিডিও পরীক্ষা করে। কোনো খবর যদি এমন কোন মিডিয়া প্রতিষ্ঠান থেকে আসে যারা ভুয়া খবর ছড়ায় – তাহলে তা-ও ধরে ফেলে অল্টনিউজ।
ডিজিটাল বিশেষজ্ঞ দুর্গা রঘুনাথ বলছেন, একটা বড় সমস্যা হলো সামাজিক মাধ্যমে বা মেসেজিং এ্যাপগুলোতে লোকজন খবরের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তোলে না।
বিবিসি জানিয়েছে-ভারতে ২০০০ রুপির নোটে এমন একটি জিপিএস চিপ বসানো আছে যা নোটটি দেশের বাইরে নিয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ তা ট্র্যাক করতে পারবে – এমন এক ভুয়ো খবর ধরে ফেলে তিনি প্রথম আলোচিত হন।