এক ক্লিকেই হূদরোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে একটি মোবাইল অ্যাপ উন্মোচন করেছে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন। ‘ই-হার্ট’ নামে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা ও রোগীর ইন্টার? এক্টিভ কমিউনিকেশন অ্যাপটি গত মঙ্গলবার প্লেস্টোর ও অ্যাপলের অ্যাপস্টোরে ছাড়া হয়েছে। সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সহায়তায় অ্যাপটি তৈরি করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবার ল্যাব। রাজধানীর মিরপুরে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অডিটরিয়ামে হৃদরোগ চিকিৎসা ব্যবস্থাকে মানুষের কাছে আরও উন্নত ও সহজতর করার লক্ষ্যে ‘ই-হার্ট’ অ্যাপটির উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আনিসুল হক বলেন, হৃদরোগীরা অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। তাদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটু এদিক ওদিক হলে সমস্যা হয়ে যায়। রোগীরা এ ডিজিটাল অ্যাপ ব্যবহার করে নিয়মিত চিকিৎসা, ওষুধ সেবন করতে পারবেন। এতে রোগীর সময় সাশ্রয়ী হবে, হয়রানির হাত থেকে মুক্তি পাবেন, চিকিতৎসকদের সঙ্গে ভালো একটি সম্পর্ক তৈরি হবে। তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের চিকিৎসা খাতকে ডিজিটাল করতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন চিকিৎসা ক্ষেত্রে যে অভাবনীয় ভূমিকা রেখে চলেছে তার একটি বড় প্রমাণ রোগীদের জন্য এ অ্যাপ। তিনি বলেন, রোগী ও ডাক্তারের সম্পর্ক যত কাছে আসবে তত সহজেই সেবা পাওয়া সম্ভব হবে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ই-হার্ট অ্যাপ কেবল ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের রোগীরা ব্যবহার করতে পারবেন। এ অ্যাপে পেশেন্ট প্রোফাইল, রিস্ক স্কোর, অ্যাপয়েনমেন্ট, প্রেসক্রিপশন, রেস্ট রেজাল্টস, রিস্ক ট্রেন্ড, ফলোআপ, হার্ট রেইট অপশন রয়েছে। হার্ট ফাউন্ডেশনের রোগীরা হাসপাতাল কর্তৃক হাসপাতাল আইডি বা নিজেরা অ্যাপ ডাউনলোড করে রেজিস্ট্রেশন করে লগইন করতে পারবেন। রোগীর প্রোফাইলে রোগীর নাম, বয়স, উচ্চতা, ওজন, রক্তের গ্রুপ, রোগের ধরন ইত্যাদি থাকবে। রিস্ক স্কোরে রোগীর ঝুঁকির হিসাব থাকবে। প্রধানত এ রোগীর কোলেস্টেরল, এইচডিএল কোলেস্টেরল, সিস্টোলিক রক্তচাপ, রোগীর বয়স, লিঙ্গ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপানের ক্ষেত্রের তথ্য ঝুঁকি স্কোর গণনা করতে ব্যবহূত হবে। স্কোর অনুযায়ী রোগীর একটি গ্রাফ তৈরি হবে। রিস্ক স্কোরে মডিউলে ক্লিক করে রোগী তার ঝুঁকি স্কোর দেখতে পাবেন।