তথ্য মন্ত্রণালয় জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন তথ্যাদি ই–সার্ভিসের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গণযোগাযোগ অধিদপ্তরসহ তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন অন্যান্য সংস্থার ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে জনসচেতনতামূলক সব ধরনের তথ্য খুব শিগগিরই পাওয়া যাবে। বিশেষ করে নাগরিক অধিকার, মা ও শিশু পরিচর্যা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাল্যবিয়ে ও যৌতুক রোধ এবং পরিবেশসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতামূরক তথ্য ই–সার্ভিসে প্রাধান্য পাবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের ‘ই–সার্ভিস রোডম্যাপ ২০২১’ অবহিতকরণ সভায় জনসচেতনতামূলক প্রয়োজনীয় তথ্য ই–সার্ভিসের মাধ্যমে মানুষের কাছে পেীছানোর এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
চলতি অর্থবছর থেকেই এই ই–সার্ভিস সেবা (ডিজিটালকরণ) শুরু হচ্ছে, যা পর্যায়ক্রমে ২০২১ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে সভায় জানানো হয়।
তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণ এবং কর্মকর্তারা এ সভায় যোগ দেন।
গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ জাকির হোসেন এ সভায় গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের ৮০৯টি সেবা ২২৩টি ই–সার্ভিসের মাধ্যমে জনগণ ও সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে কিভাবে সরবরাহ করা হবে সে সম্পর্কে বিশদ ব্যাখ্যা করেন।
এ সময় তথ্যসচিব বলেন, তথ্য ও গণযোগাযোগের ক্ষেত্রে দেশব্যাপী ডিজিটাল সেবা সম্প্রসারণে এটি তথ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন পদক্ষেপ। এখন থেকে প্রতিটি সেবাই ই–সার্ভিসের মাধ্যমে দেয়া হবে।
ঢাকাস্থ গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের অধিনে ৬৪টি জেলা তথ্য অফিস এবং পার্বত্য অঞ্চলের ৪টি উপজেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ দেশের সব জায়গায় নাগরিক অধিকার বিষয়ে জনসচেতনতামূলক চলচ্চিত্র প্রদর্শন, স্বাস্থ্য–শিক্ষা, পরিবেশ বিষয়ক পথপ্রচার, মা ও শিশু পরিচর্যা বিষয়ে উঠান বৈঠক, জনপ্রতিনিধিদের জন্য কর্মশালা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে কাজ করছে।