‘আমেরিকান মহত্ত্ব’কে সামনে এনে নিজের প্রথম স্টেট অব ইউনিয়ন ভাষণ শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকাকে শক্তিশালী নাগরিকদের সমন্বয়ে গঠিত শক্তিশালী এক দেশ আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প বলতে চেয়েছেন স্বপ্ন-সম্ভবনায় বিশ্বের আর কোনও দেশ আমেরিকার মতোন নয়। ভাষণে ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারণার সময়ের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ ধারণার আভাস পাওয়া গেছে।
ভাষণের শুরুতেই ট্রাম্প বলেছেন, ‘সব সময়ের জন্যই যা বাস্তব, গত বছর বিশ্ব তা দেখেছে। বিশ্ব জেনেছে, পৃথিবীর আর কোনও দেশের মানুষ আমেরিকানদের মতো নির্ভীক-সাহসী আর নিজের প্রতি আস্থাশীল নয়। পাহাড় দেখলে সেটায় উঠে পড়তে আমরা দেরি করি না। একটা সীমান্ত দেখলে সেটা পেরিয়ে যেতে ভয় পাই না।যেখানেই আশা, তাকেই আমরা কব্জা করে ফেলি।সুতরাং আমেরিকা শক্তিশালী, কেননা এর জনগণ শক্তিশালী।’
৮০-এর দশকে চালু হওয়া নব্য উদারবাদী অর্থব্যবস্থা যখন যুক্তরাষ্ট্রসহ সারাবিশ্বে ব্যর্থতার নজির স্থাপন করেছে, ঠিক তখনই ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নামের সংরক্ষণশীল অর্থনীতির রূপরেখা নিয়ে মার্কিন রাজনীতির মঞ্চে হাজির হন আবাসন ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভয়াবহ বৈষম্য উৎপাদনকারী নব্য উদারবাদের জন্মভূমি যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তবাজারের অসারতা প্রমাণ করতে সমর্থ হন তিনি। তাই ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ নামে কলম্বাসের কথিত আবিষ্কৃত আমেরিকার প্রলোভন দেখান মার্কিন ভোটারদের। এক বছর পেরিয়ে এসে স্টেট ইউনিয়ন ভাষণের সূচনায় সেই আমেরিকান শ্রেষ্ঠত্বকেই সামনে আনলেন তিনি।