অবকাঠামো সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে ২০২১ সাল নাগাদ পোশাক রফতানি আয় ৬০ বিলিয়ন ডলার হতে পারে বলে মনে করেন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, ইউরোপ এবং আমেরিকার ক্রেতাদের তত্ত্বাবধানে পোশাক খাতের সংস্কার চলছে। ফলে চীন, জাপানসহ বিভিন্ন দেশের উদ্যোক্তা এ দেশে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এ মুহূর্তে অবকাঠামো উন্নয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের দুর্বলতা কাটানো এবং প্রস্তাবিত ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামে পোশাক খাতের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দ দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ে এ ব্যবস্থা করা না হলে সংকট তৈরি হবে। কারণ, অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণে দশ বছর লেগে গেলে তখন আর বিনিয়োগকারী পাওয়া যাবে না।
ঢাকা অ্যাপারেল সামিট উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল রোববার এসব কথা বলেন তিনি। আগামী শনিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অর্থ, বাণিজ্য ও পররাষ্ট্রসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী এবং বিদেশি কূটনীতিকরা সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন। আন্তর্জাতিক গবেষক, শিক্ষাবিদ ও ব্র্যান্ড প্রতিনিধিরা সামিটে উপস্থিত থাকবেন।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে প্রথম সামিট চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। ওই সামিটের প্রতিপাদ্য ছিল দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তিতে পোশাক খাত থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে একটি পথনকশা করে বিজিএমইএ। গত দুই বছরে সেই নকশা অনুযায়ী, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চার লেনে উন্নীত হওয়াসহ অনেক কাজ এগিয়েছে বলে দাবি করেন সিদ্দিকুর রহমান। সে সুবাদেই ৫০ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন বিজিএমইএ সভাপতি।
রাজধানীতে বিজিএমইএ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের প্রথম সহ-সভাপতি মইনুদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, সহ-সভাপতি এসএম মান্নান কচি, মোহাম্মদ নাছির ও মাহমুদ হাসান খান বাবু এবং সামিটের টাইটেল স্পন্সর ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান এমএ সবুর, সামিটের ইভেন্ট ম্যানেজার ডেনিম এক্সপার্টের মোস্তাফিজ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র-সমকাল