ডিএমপি নিউজঃ লেখক ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলা তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। খুব শীঘ্রই এই মামলার চার্জশীট দেয়া হবে বলে জানান সিটিটিসি’র প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ মনিরুল ইসলাম বিপিএম-বার, পিপিএম-বার।
আজ বেলা ১২ টা ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিং এ উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার তদন্ত কোন পর্যায়ে জানতে চাইলে সিটিটিসি প্রধান বলেন, লেখক অভিজিৎ রায়কে ৩ বছর আগে হত্যা করা হয়। অভিজিৎ রায়ের হত্যার পর মামলা তদন্তের দায়িত্বে ছিল ডিবি পুলিশ। গত ৩ মাস আগে মামলাটি সিটিটিসি’র কাছে হস্তান্তর হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মামলা হস্তান্তরের আগে এই মামলায় ৭ জন গ্রেফতার ছিল। মামলা তদন্ত হাতে পাওয়ার পর সিটি এই মামলায় ৩ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সাইমন, আবু সিদ্দিক সোহেল ও আরাফাত ওরফে শামস ওরফে সাজ্জাদ। এই তিন জনকে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে ছবি রয়েছে। পাশাপাশি গত আড়াই বছর আগে অভিজিৎ রায় হত্যাকান্ডে সনাক্তকৃত ব্যক্তিদের ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। গ্রেফতারকৃত তিনজন পুরস্কার ঘোষিতদের মধ্যে ছিল।
সিটিটিসি’র প্রধান বলেন, এই তিন জনকে গ্রেফতারের মাধ্যমে মূলত এই মামলার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। তিনজনের ২ জন ইন্টেলিজেন্স উইং আর একজন সরাসরি মিলিটারি উইং এর সদস্য ছিল। সার্ভিলেন্স ও অপারেশনের সাথে তারা তিনজনই সরাসরি জড়িত ছিল। এই বিষয়ে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এই মামলায় আমরা আরো ৫ জনকে সনাক্ত করেছি। এই পলাতক ৫ জনের মধ্যে দুই একজনকে গ্রেফতার করতে পারলে আমরা এই মামলার তদন্ত কাজ সমাপ্ত করতে পারবো বা চার্জশীট দিতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, মামলার তদন্তে জানা যায়, লেখক অভিজিৎ রায়ের প্রতি তাদের কোন ব্যক্তিগত আক্রোশ ছিল না। মূল আক্রোশটা ছিল তার লেখনীর উপর।