ডিএমপি নিউজঃ একটি দুর্ঘটনা একটি পরিবারের জন্য অনেক বড় ধাক্কা। রাস্তাঘাটে প্রায়ই কিছু অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এমনটি ঘটে হয়ত আমাদের অসাবধানতায় কিংবা মনের অজান্তেই। চাকরি বা পড়াশুনার তাগিদে অনেকেই পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। বসবাস করতে হয় বিভিন্ন স্থানে। যার জন্য নিজেকে নিজেই চালিয়ে নিতে হয়। এই সময় ভালোমন্দ সবকিছু নিজের উপর নির্ভর করে। আর প্রতিদিন এই কর্মজীবী মানুষগুলো বেরিয়ে পরে নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। এই ব্যস্ত জীবনে রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে অনেকেই মানছে না ট্রাফিক আইন। ঘটছে দুর্ঘটনা। এই দুর্ঘটনায় প্রাণ যাচ্ছে অনেকের, কেউবা আবার হয়ে যাচ্ছে চিরদিনের জন্য বিকলাঙ্গ। তাই নিজের জীবন বাঁচাতে প্রয়োজন নিজের সচেতনতা। আমাদের সবার সচেতনতায় হয়ে উঠতে পারে একটি নিরাপদ জীবনের বলয়। আসুন এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করি যেগুলো সম্পর্কে হয়তো আমরা সবাই অবগত।
নিরাপদে পথ চলতে যা প্রয়োজনঃ
১। অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে গাড়িতে উঠা থেকে বিরত থাকুন।
২। গাড়ির দরজায় ঝুলন্ত অবস্থায় উঠবেন না।
৩। চলন্ত গাড়ির পিছনে যাত্রী হয়ে উঠবেন না।
৪। চলন্ত গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে নামা থেকে বিরত থাকুন।
৫। রাস্তার যেখানে সেখানে বা মাঝ রাস্তায় গাড়ি থেকে নামবেন না।
৬। গাড়ি থেকে নামার সময় বাম পাঁ দিয়ে নামুন।
৭। নির্দিষ্ট স্থান হতে গাড়ি থেকে উঠা-নামা করার চেষ্টা করুন।
৮। গাড়িতে উঠার পর গাড়ি থেকে হাত বাহিরে রাখবেন না।
৯। চলন্ত গাড়ি থেকে মাথা বের করবেন না।
১০। গাড়িতে উঠে ঘুমিয়ে পরবেন না।
১১। গাড়িতে উঠে ড্রাইভারের সাথে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
১২। রাস্তা পারাপারের সময় জেব্রা ক্রসিং দেখে পার হন। ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করুন।
১৩। চলন্ত গাড়ির সামনে দিয়ে দৌঁড়ে পার হবেন না। আপনি হয়তো ভাবছেন যে ড্রাইভার গাড়িটি ব্রেক করবে, অপরদিকে ড্রাইভার ভাবছে আপনি গাড়ি দেখে দৌঁড়ে পার হয়ে যাবেন। অবশেষে উভয়ের ভুল বোঝাবুঝিতে ঘটে মারাত্মক দুর্ঘটনা।
১৪। কানে মোবাইল ফোন বা হেডফোন দিয়ে রাস্তা পারাপারে বিরত থাকুন।
১৫। অন্যমনস্ক হয়ে কখনোই পথ চলবেন না।
১৬। ফুটপাত দিয়ে চলাফেরা করা চেষ্টা করুন।
১৭। ফুটপাতে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করুন।
১৮। গাড়িতে উঠার পর সিট বেল্ট থাকলে তা বাঁধুন।
১৯। গাড়িতে উঠে উচ্চস্বরে গান-বাজনা করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে গাড়ি চালকের মন অন্যমনস্ক হয়ে পড়তে পারে।
২০। গাড়ির ছাদে চড়বেন না।
আপনার সচেতনতাই পারে আপনার জীবনকে রক্ষা করতে। তাই সঠিক ভাবে ট্রাফিক আইন মেনে চললে হয়তোবা আপনার পরিবারকে আরেকটি দুর্ঘটনার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। মাথায় রাখুন সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। তাড়াহুড়া করে রাস্তায় চলতে গিয়ে মহামূল্যবান জীবনের অবসান অবশ্যই চাইবেন না কেউ।