ডিএমপি নিউজঃ সকলে মিলে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। কে ট্রাফিকে আছে, আর কে ক্রাইম বিভাগে আছে এটা বড় বিষয় না। বিপদে সবাই সবাইকে সাহায্য করবে। মনে রাখতে হবে আমি নই, আমরা মিলে ‘টিম ডিএমপি’।
ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ডিএমপি’র চারটি ট্রাফিক বিভাগের সাথে পর্যায়ক্রমে বিশেষ ট্রাফিক সভার আয়োজন করা হয়। বিশেষ ট্রাফিক সভার আজ ছিল শেষ দিন। সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে আগত ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম।
ট্রাফিকের পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে কমিশনার বলেন, রাস্তার শৃংখলা ধরে রাখতে ট্রাফিক আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়। এই কথাটি মাথায় রেখে জনসাধারণের প্রতি সর্বোচ্চ ভালো ব্যবহার দিয়ে ট্রাফিক আইন প্রয়োগ করতে সকল ট্রাফিক বিভাগকে নির্দেশ দেন। ট্রাফিক আইন মেনে গাড়ি চালানো জন্য ড্রাইভার, মালিক ও শ্রমিকদের সাথে ফলপ্রসু আলোচনা করতে হবে। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি না চালাতে সকলকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।’
এছাড়াও কমিশনার ট্রাফিকের ইন্টারসেকশন ম্যানেজমেন্ট, মানুষের সাথে পেশাদারিত্বপূর্ণ আচরণ, ভিডিও মামলা বেশি করা, নিজে রাগান্বিত না হয়ে ধৈর্য্য ধরে প্রসিকিউশন দেয়া এবং গাড়ির চালককে মামলা সম্পর্কে বিস্তারিত বলা, প্রসিকিউশনের জরিমানা কোন অবস্থাতে নগদ গ্রহণ না করা, উল্টো পথে গাড়ি চালালে ট্রাফিক আইনের আওতায় আনা, হুটার- বিকন লাইন ও হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহার যাতে করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখা, চেকপোস্টের মাধ্যমে গাড়ির কাগজপত্র যাচাই করার নির্দেশ দেন।
মানুষের মাঝে ট্রাফিক আইনের প্রতি সচেতনতা সৃষ্টি করতে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক সচেতনতামূলক কর্মসূচী পালন করতে বলা হয়েছে।
বিশেষ ট্রাফিক সভা চলাকালীন সময়ে ট্রাফিকের চারটি বিভাগ থেকে ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনের জন্য স্বল্প মেয়াদী, মধ্য মেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা উত্থাপন করা হয়।
সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।