মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার শেয়ারিং এর মেয়াদ ১৫ বছর রেখে দেশের চার টাওয়ার কোম্পানিকে টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর ২০১৮) বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এই চার প্রতিষ্ঠানের মালিকের হাতে এই লাইসেন্স তুলে দেন।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো— ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিডেট, সামিট পাওয়ার লিমিটেড, কীর্তনখোলা টাওয়ার বাংলাদেশ লিমিটেড এবং এবি হাইটেক কনসোর্টিয়াম লিমিটেড। খবর সমকাল।
অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার বলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক নেতৃত্বের যোগ্যতায় উপনীত হয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার শেয়ারিং দেশে মোবাইল প্রযুক্তির বিকাশে একটি নতুন মাইলফলক।
তিনি বলেন, টাওয়ার শেয়ারিং কার্যকর হলে টাওয়ারের জন্য মোবাইল অপারেটরগুলোর বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে না। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে গুণগত মানের মোবাইল সেবা প্রদানে মন্ত্রী এ সময় সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
জানা গেছে, টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স পাওয়া চার কোম্পানিকে তাদের লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রথম বছরেই দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে সেবা সম্প্রসারণ করতে হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় বছরে জেলা শহরে, তৃতীয় বছরে ৩০ শতাংশ উপজেলায়, চতুর্থ বছরে ৬০ শতাংশ উপজেলায় এবং পঞ্চম বছরে দেশের সব উপজেলায় সেবা সম্প্রসারণ করতে হবে। টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্সের মেয়াদকাল ১৫ বছর। লাইসেন্স ফি ২৫ কোটি টাকা এবং বার্ষিক নবায়ন ফি ৫ কোটি টাকা। দ্বিতীয় বছর থেকে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ হারে বিটিআরসির সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগি হবে। এ ছাড়া সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলে জমা দিতে হবে ১ শতাংশ হারে।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার ও বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হকও বক্তব্য দেন।