সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের পেজে মন-খারাপের ছবি কিংবা যন্ত্রণার গল্প লিখে ফেললে কিছুটা যেন হালকা হওয়া যায়। নিজের টুকরো গল্প কিংবা ছবি আপলোড করার পরেই ভার্চুয়াল দুনিয়ার বন্ধুরা পাশে থাকে কমেন্ট বক্সে।
মনোবিদেরা বলছেন, ভার্চুয়াল জগতের বন্ধুদের কমেন্ট ‘ওষুধ’ হতে পারে। মানসিক অবসাদ কাটাতে হাতিয়ার হতে পারে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম কিংবা ট্যুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া। ভার্চুয়াল জগতের বন্ধুরা যদি একটু সচেতন হয়, তা হলে অবসাদগ্রস্ত মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে পেতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট এবং ছবি দেখে তাঁরা যদি মানসিক অবসাদে ভোগা মানুষের সঙ্গে মনোবিদদের যোগাযোগ করিয়ে দেন বা জীবনের ছন্দে ফিরে যাওয়ার পথ দেখাতে পারেন, তা হলে বড় বিপত্তিও এড়ানো সম্ভব। আধুনিক জীবনে দিন দিন বাড়ছে অবসাদ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসিক অবসাদে ভুগলে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ এড়িয়ে যান। বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আ়ড্ডা দেওয়া কিংবা আত্মীয়স্বজনের বাড়ি যাওয়া বন্ধ করে দেন। কিন্তু ভার্চুয়াল জগতে যেহেতু সরাসরি দেখা হয় না, তাই মনের কথা অনেক সহজে বলতে পারেন। আর তাই এই মাধ্যমকেই মন সুস্থ রাখার হাতিয়ার করতে চাইছেন তাঁরা। ফেসবুকে ইতিমধ্যেই এমন একটি ‘অপশন’ রয়েছে যেটা ফেসবুকের বন্ধুদের মনের হাল হকিকত জানতে সাহায্য করবে। এটাকে স্বাগত জানাচ্ছেন মনোবিদদের একাংশ।
মনোবিদ নীলাঞ্জনা সান্যাল বলেন, ‘‘সামনের মানুষটির সঙ্গে মতের মিল না হলে বেশি খারাপ লাগে। কিন্তু ভার্চুয়াল জগতে যেহেতু সরাসরি দেখা হয় না, তাই সহজে কথা বলা যায়। মন খারাপের কথাও বলা যায়।’’ মনোরোগ চিকিৎসক জয়রঞ্জন রামের কথায়, ‘‘মনের জানলা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি খোলা থাকে। সরাসরি কথা বললেও অনেক সময়ে সেটা সহজে বোঝা যায় না। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার কাজকর্মে অনেক বেশি মানসিক অবস্থার হদিস দেয়। ভার্চুয়াল বন্ধুরা সচেতন হলে অবসাদ কাটাতে সোশ্যাল মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।’’