অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়ার পশ্চিম উপকূলে প্রায় ২৭০টি তিমির আটকা পড়ার ঘটনাটি সোমবার গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। আটকে পড়া তিমির মধ্যে অন্তত ৯০টির মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, আরও তিমি মৃত্যুর পথে রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ওই পাইলট তিমিগুলোর মধ্যে যেগুলো এখনও বেঁচে আছে তাদের রক্ষার চেষ্টা করছেন জীববিজ্ঞানীরা। এতে কয়েকদিন লেগে যেতে পারে। খবর বিবিসির।
কী কারণে তিমিগুলো তীরে চলে এসেছে তা জানা যায়নি। সৈকতে তিমি চলে আসা ওই এলাকায় সাধারণ ঘটনা হলে-ও ২০০৯ সালের পর থেকে এত তিমিকে একসঙ্গে সাগর থেকে উঠে আসতে দেখা যায়নি। তাসমানিয়ান মেরিটাইম কনসারভেশন প্রোগ্রাম এর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, দ্বীপের ম্যাককুয়েরি হেডস নামক একটি এলাকাজুড়ে তিনটি দলে তিমিগুলোকে পাওয়া গেছে, দ্বীপের একটি প্রত্যন্ত অন্তরীপের এই এলাকাটিতে যাওয়ার তেমন কোন রাস্তা নেই এবং জলযানও ওই এলাকায় খুব কম যায়।
বন্যপ্রাণী বিষয়ক জীববিদ ড. ক্রিস কার্লিয়ন, তুলনামূলকভাবে অধিকাংশ প্রাণীই দুর্গম স্থানে আছে। মঙ্গলবার থেকেই প্রথম তিমিটি উদ্ধারের উদ্যোগ শুরু হয়ে গেছে। এদিন পরিস্থিতির পুরো একটি চিত্র পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাইলট তিমি ৭ মিটার (২৩ ফুট) পর্যন্ত লম্বা এবং এর ওজন তিন টন পর্যন্ত হতে পারে।
সোমবার প্রথমে আকাশ থেকে তিমিগুলোকে চিহ্নিত করা হয়। উদ্ধারকারীরা রওনা হয়ে রাতে সেখানে পৌঁছান। সেখানে যেয়ে কয়েক শ’ তিমিকে আটকা পড়া অবস্থায় পান তারা। প্রায় ২০০ তিমিকে একটি বালু চরে পাওয়া যায়, কয়েকশ’ মিটার দূরে পাওয়া যায় আরও ৩০ তিমিকে। অন্য আরও ৩০ তিমিকে কাছাকাছি আরেকটি জায়গায় পাওয়া যায়।