আজ রবিবার সারাদেশে একযোগে শুরু হচ্ছে করোনার টিকাদান কার্যক্রম। প্রথম দিনে ঢাকাসহ সারা দেশে ১ হাজার ৫টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে, যার মধ্যে ঢাকার ৫০টি কেন্দ্র রয়েছে। ঢাকায় ২০৪টি এবং ঢাকার বাইরে ২ হাজার ১৯৬টি স্বাস্থ্যকর্মী দল এসব কেন্দ্রে সরাসরি টিকাদানে নিয়োজিত থাকবে। ধারাবাহিকভাবে করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে মোট ৭ হাজার ৩৪৬টি দল প্রস্তুত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আজ সকাল ১০টায় করোনার টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সারা দেশে জেলা-উপজেলায় করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছে গেছে। সারা দেশে আজ থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরুর সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। টিকার জন্য নিবন্ধন করা না থাকলেও কেন্দ্র থেকে কাউকে ফেরত পাঠানো হবে না। কেন্দ্রেই নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হবে। এক্ষেত্রে টিকা নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে আনতে হবে। দেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরুর আগের দিন গতকাল শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে আসেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। তিনি জানান, টিকা নিতে গতকাল শনিবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ৩ লাখ ২৮ হাজার ১৩ জন নিবন্ধন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আজ রবিবার সকাল ১০টা থেকে ঢাকাসহ জেলা-উপজেলায় টিকাদান শুরু হবে। এরপর থেকে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত টিকা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ, অর্থাত্ ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৪৭ হাজার ৫০৮ জন মানুষকে করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার। প্রত্যেককে দুই ডোজ টিকা দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে প্রথম ডোজের আট সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা হলেও সেখানে পরিবর্তন এসেছে। আরো আগেই দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানিয়েছেন।
গত ২৭ জানুয়ারি দেশে প্রথম করোনার টিকা প্রদান শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এর এক দিন পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল এবং বিএসএমএমইউয়ে প্রাথমিকভাবে ৫৪১ জনকে টিকা প্রদান করা হয়।