নিরাপদ, স্বেচ্ছাসেবী পরিবার পরিকল্পনার লক্ষ্য নিয়ে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘ফ্যামিলি প্ল্যানিং : এমপাওয়ারিং পিপল, ডেভেলপিং নেশন্স’। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক কিশোরী স্বাস্থ্য ও বাল্য বিবাহ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে সোমবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সাফল্যজনকভাবে মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস করায় ২০১০ সালে এমডিজি (মিলিনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল) অর্জন করে। সমতা ও মানবাধিকার এই মূলনীতির আলোকে তৈরি একটি নতুন টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়নে সরকার দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ। এই লক্ষ্য অর্জনে কিশোরীদের স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ যত্ন নেয়া অত্যন্ত জরুরি।
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০১৭ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন এবং দিবসের কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেন, তার সরকার দেশব্যাপী কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ও অন্যান্য সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে কিশোরী, শিশু ও নারী স্বাস্থ্য সেবায় কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি এ ব্যাপারে নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্য সেবায় গৃহীত সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
এদিকে দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিতে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে র্যালি ও আলোচনা সভা। রাজধানীতে মূল অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির গভর্নিং কাউন্সিল জনসংখ্যা ইস্যুতে গুরুত্ব প্রদান ও জরুরি মনোযোগ আকর্ষণের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।