আজ রবিবার কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকাজ উদ্বোধন করবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে দুপুর সাড়ে ১২টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এ কাজের উদ্বোধন করবেন বলে তাঁর অনুষ্ঠান সূচিতে রয়েছে। ২০২৪ সালে এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
এদিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা খালাসের জন্য এখানে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা হবে। এটি বহুমুখী কাজে ব্যবহারের চিন্তা করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর আজ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকাজের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজও শুরু হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে সরকার বিদ্যুতের একটি হাব গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে। এর মধ্যে কয়লা থেকে প্রায় সাত হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে সেখানে। এ ছাড়া সেখানে সাগরে ভাসমান জাহাজ থেকে আমদানি করা এলএনজি পাইপলাইনের মাধ্যমে দেশের অন্যান্য প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া হবে। এ জন্য এরই মধ্যে ৯০ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণের কাজ শেষ করেছে গ্যাস ট্রান্সমিশন কম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)। আগামী এপ্রিলে প্রথম দফায় প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানি করার ঘোষণা রয়েছে সরকারের।
২০১৫ সালের আগস্টে মাতারবাড়ীতে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ৩৬ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করে সরকার। জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকা এই প্রকল্পে ২৯ হাজার কোটি টাকা দেবে। বাকি টাকা দেবে সরকার। মহেশখালীর মাতারবাড়ী ও ঢালঘাটা ইউনিয়নের এক হাজার ৪১৪ একর জমিতে হচ্ছে এই বিদ্যুৎ প্রকল্প।
বিদ্যুেকন্দ্র ও গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে গত বছরের জুলাইয়ে জাপানের তিনটি প্রতিষ্ঠানের একটি কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তি করে কোল পাওয়ার জেনারেশন কম্পানি বাংলাদেশ (সিপিজিসিবিএল)। জাপানি কনসোর্টিয়ামের অন্যতম কম্পানি তোশিবা করপোরেশন।
প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের সময় মাতারবাড়ী অংশে জাপানি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি ও সিপিজিসিবিএলের কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।