ক্রমবর্ধমান করোনভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই চীনে আবারও লকডাউন জারি করা হয়েছে। এই লকডাউনের ক্ষোভ বেড়েছে মানুষের। চীনের অনেক শহরে মানুষ রাস্তায় নেমে শি জিনপিং সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। চীনা নাগরিকরা তাদের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কঠোর শূন্য কোভিড নীতি পছন্দ করছে না বলে জানা গিয়েছে। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে পুলিশের মুখোমুখি হচ্ছে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে কাজ করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। চীনে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে স্লোগান উঠছে চীনের রাস্তায়।
জানা গিয়েছে, কোভিড-১৯ এর কারণে জারি করা লকডাউনের বিরোধিতা করা হচ্ছে বেইজিং এবং সাংহাইসহ চীনের অনেক শহরে। সাংহাইয়ে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে এলে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়। এখানে পুলিশের গাড়িতে অনেককে বেঁধে রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বেইজিং এবং নানজিংসহ অন্যান্য জায়গায়, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছে বলেও জানা গিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভের পরে চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের শহর উরুমকিতেও অশান্তি শুরু হয়েছে। এখানে একটি টাওয়ার ব্লকে আগুন লেগে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার রাতে সাংহাইতে বহু মানুষ প্রতিবাদে শামিল হয়। এখানে বিক্ষোভকারীরা প্রকাশ্যে ‘শি জিনপিং, পদত্যাগ করুন’ এবং ‘কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতা ছেড়ে দাও’ স্লোগান তোলে। আন্দোলনকারীদের হাতে ব্যানারও ছিল। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই ধরনের বিক্ষোভ এবং প্রকাশ্যে শি জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া চীনে সাধারণ ঘটনা নয়। চীনের সরকার এবং প্রেসিডেন্টের সরাসরি সমালোচনা করলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে যে, যারা চীন সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে তাদের খুঁজছে পুলিশ। তবে লকডাউনের কারণে চীনের অনেক শহরের নাগরিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমেছে। কোভিড বিধিনিষেধের কারণে ক্ষুব্ধ লোকেরাও সম্প্রতি ঝেংঝো থেকে গুয়াংজু পর্যন্ত হিংসাত্মক বিক্ষোভ করেছে।–জি নিউজ